রংপুরের পীরগঞ্জে ৬ বছরের এক ছেলেকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার সময় বিটুল মিয়া নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। গলায় গুরুতর জখম হওয়া আবির নামে ওই শিশুকে উদ্ধার করে পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে এ ঘটনা ঘটে।
কুমেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জানান, কুমেদপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ সবুজ মিয়ার দুই ছেলে আদনান ও আবির। ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে আখিরা নদীতে দুই ভাই গোসল করছিল।
এ সময় একই গ্রামের বাটুলের ছেলে ২২ বছর বয়সী বিটুল- আবিরকে ডেকে নদীর তীরে তুলে হঠাৎ হাতে থাকা ধারালো কাঁচি দিয়ে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালায়।
এ সময় শিশুটির বড় ভাই ৮ বছরের আদনান চিৎকার দিলে বিটুল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে বিটুলকে আটক করে ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে নিয়ে আসে।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে বিটুলকে তুলে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় আবিরকে প্রথমে পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে।’
পীরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, আটকের পর স্থানীয়দের মারধরে আহত হয় বিটুলও। পুলিশ হেফাজতে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কী কারণে সে হত্যাচেষ্টা করেছিল তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।