কুমিল্লার যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান জুয়েলকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ। চেক জালিয়াতির মামলায় তাকে পাঠানো হয়েছে জেলে।
গত বৃহস্পতিবার চৌদ্দগ্রামের যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান জুয়েলের হাতে রাইফেল থাকা একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সমালোচনা হলে ৮৬টি গুলিসহ সেই রাইফেল শুক্রবার রাতে পুলিশের কাছে জমা দেন জুয়েলের স্ত্রী ফারজানা হক।
চেক জালিয়াতির চারটি অভিযোগে জুয়েল সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় আগে থেকেই তিনি পলাতক। অবশেষে রোববার রাতে ঢাকার বনানী এলাকার একটি বাসা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা।
সোমবার দুপুরে জুয়েলকে আদালতে হাজির করা হয়। কুমিল্লা যুগ্ম দায়রা জজ ৩ আদালতের বিচারক সমরেশ শীল তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
থানায় জমা দেয়া জুয়েলের রাইফেল ও গুলি। ছবি: নিউজবাংলা
কুমিল্লার কোর্ট পরিদর্শক মুজিবুর রহমান জানান, যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান জুয়েলের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির মামলায় সাজার রায় আছে। সেসব মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ জুয়েলকে আদালতে হাজির করলে জামিন আবেদন জানান তার আইনজীবীরা। আদালত তার জামিন দেয়নি।
অভিযোগ আছে, গত বৃহস্পতিবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ জালাল মজুমদারের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। যুবলীগ নেতা মনিরুজ্জামান জুয়েলসহ কয়েকজন এ হামলা চালান বলে যখন আলোচনা চলছিল ঠিক তখনই অস্ত্র হাতে জুয়েলের একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এরপর স্ত্রীর মাধ্যমে থানায় অস্ত্র জমা দিলেও জুয়েল পালিয়ে ছিলেন। যুবলীগের রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও জুয়েল বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ পদে নেই বলে জানান স্থানীয় নেতারা।
পুলিশ জানায়, থানায় জমা দেয়া রাইফেলের লাইসেন্স যাচাই করা হয়েছে। অস্ত্র ও গুলির বৈধতা থাকায় সে বিষয়ে মামলা হয়নি। তবে চেক জালিয়াতির চারটি মামলায় বিভিন্ন ধারায় এক বছর করে সাজা হয়েছে জুয়েলের। সেসব মামলায় পলাতক আসামি হিসেবে তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি ছিল। পরোয়ানাতেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।