সাতক্ষীরার শ্যামনগরে উপকূলীয় নদীর বাঁধ ভেঙে ভেসে গেছে মাছের ঘের ও গ্রামের পর গ্রাম। এ অবস্থায় বাঁধটি মেরামতে নেমেছে স্থানীয়রা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উদ্যোগে এই কার্যক্রমে স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন উপকূলীয় জনপদের পাঁচ শতাধিক মানুষ।
সোমবার সকালে বাঁধ মেরামতের কার্যক্রম শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম জানান, ‘উপকূলীয় জনবসতির পাঁচশ’ বাসিন্দা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতে কার্যক্রম শুরু করেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজটি করছে। আমরা সহযোগিতা করছি।
‘ভাঙনকবলিত স্থান থেকে দূরে বাঁশ দিয়ে রিং বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে। মঙ্গলবার অথবা পরদিন কাজ শেষ হবে বলে ধারণা করছি। বাঁধ মেরামত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নদীর জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করবে।’
পাউবো’র বিভাগীয় প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, জোয়ারের তীব্র স্রোতে বাঁধ ভেঙে যাওয়ার চারদিন পার হলেও বাঁধের মেরামত কাজ শেষ করা সম্ভব হয়নি। তবে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার ভিকো ব্যাগ ও পর্যাপ্ত পরিমাণ বাঁশ পাঠানো হয়েছে। তা দিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চিংড়িসহ অন্যান্য মাছের ঘের ও কাকড়া খামার। প্লাবিত হয়েছে ইউনিয়নের পূর্ব দুর্গাবাটি, পশ্চিম দুর্গাবাটি, মাদিয়া, আলপাঙ্গাসিয়া, বিলাই, কলবাড়ি, রুপোরগাতি, পূর্ব পোড়াকাটলা ও পশ্চিম পোড়াকাটলা গ্রাম।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে ১৬৫৫ হেক্টর চিংড়ি ও কাঁকড়ার খামার ভেসে গেছে। এর মধ্যে একশ’টির মতো পুকুর রয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ ৮ কোটি ২৮ লাখ টাকার কাছাকাছি।
ক্ষতিগ্রস্ত ঘের ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হচ্ছে। তালিকা চূড়ান্ত হলে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।