বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আ. লীগ-বিএনপি বৈঠকে সংকট সমাধান সম্ভব: সিইসি

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২২ ১৭:২৪

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ভিন্ন ভিন্ন মঞ্চে মিটিং করছে। একসঙ্গে কোনো মিটিং করেনি। আমি মনে করি, দেশের প্রধান এই দুই দলের মধ্যে পাঁচ/সাতটি মিটিং হলেই চলমান রাজনৈতিক সমস্যা কেটে যাবে।’

দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপিকে এক টেবিলে বসার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল৷ দেশের প্রধান এই দুই দলের মধ্যে পাঁচ/সাতটি মিটিং হলেই সমস্যা কেটে যাবে বলে মনে করেন তিনি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সোমবার সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের সঙ্গে সংলাপে বসে এমন মন্তব্য করেন তিনি। রোববার শুরু হওয়া ধারাবাহিক এই সংলাপ চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত।

সিইসি বলেন, ‘আমি মনে করি, সরকারি দল ও বিএনপি যদি বসে পাঁচ/সাতটি মিটিং করত তাহলে সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। তারা ভিন্ন ভিন্ন মঞ্চে মিটিং করছে। একসঙ্গে কোনো মিটিং করেনি। আমাদের ফ্যামিলিতে কোনো সমস্যা হলে মিমাংসায় বসি। মুরব্বিদের ডাকা হয়। এটা তো প্রচলন আছে।’

গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার দায়িত্বভার গ্রহণ করে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। দায়িত্ব পাওয়ার পর বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপ করে ইসি। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) যাচাইয়ে নিবন্ধিত ৩৯ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মতবিনিময় করে। তবে বিএনপিসহ ১১টি সমমনা দল সে মতবিনিময় সভা বর্জন করে।

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে দেড় বছর আগেই সংলাপের আয়োজন করে ইসি। তবে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে অনড় থাকা বিএনপি এ সংলাপে আসবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সিইসি এমন মন্তব্য করলেন।

সিইসি বলেন, ‘কিন্তু আমরা এমনটা দেখতে পারছি না যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্মানীত নেতারা একসঙ্গে বসছেন। টেবিলে বসে আলোচনা করলে অনেক ভালো হতো। একটা সুরাহা হতো।’

সিইসি আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করব। ভোটকেন্দ্রে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি, ভোটকেন্দ্র যেন কারো দখলে চলে না যায় সেটা আমরাও চেষ্টা করব। আপনারাও চেষ্টা করবেন। নির্বাচন কমিশনের কাজ একটাই, ভোটারকে ভোটদানের সুযোগ করে দেয়া। এই কাজটা ইসিকে নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি।’

সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রধান আবু লায়েস মুন্নার নেতৃত্বে সংলাপে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে। অপরদিকে নির্বাচন কমিশনাররাসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে অংশ নিয়েছেন।

‘জাতীয় পরিষদ’-এর সাংবিধানিক রূপ দেয়ার মধ্য দিয়েই কেবল দেশ গৃহযুদ্ধের শঙ্কা থেকে মুক্ত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট। দলটির দাবি, এই পদ্ধতির মাধ্যমে পরমতসহিষ্ণুতার গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ফিরে পাওয়া যেতে পারে। স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পারে গণতান্ত্রিক বিশ্বের পথিকৃৎ।

এ বিভাগের আরো খবর