বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএনপিকে ভোটে আসতে হবে: কাদের

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২২ ১৭:০৩

নিরপেক্ষ সরকার না এলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য নিয়েও কথা বলেন কাদের। বলেন, ‘জনগণ বিএনপির তথাকথিত নিরপেক্ষ নির্বাচন আগেই দেখেছে।… নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি উচ্চ আদালত কর্তৃক মীমাংসিত ইস্যু, এ নিয়ে নতুন করে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।’

ভোট ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সোমবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ- বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কিত মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব বলেন।বিএনপির কথা উল্লেখ করে কাদের বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। তাই তাদের নির্বাচনে আসতে হবে। বিএনপি সরকার পরিবর্তন চায় অথচ নির্বাচনে আসতে চায় না। সরকার পরিবর্তন চাইলে তো নির্বাচনে আসতে হবে।’

‘২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে হতে যাওয়া এই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কি না, এ নিয়ে সংশয় আছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এখন পর্যন্ত ঘোষণা হচ্ছে তারা বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটে যাবে না।’

বিএনপির দাবি, ভোট হতে হবে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে। আর বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বদলে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে সেই সরকার।

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান না আগামী নির্বাচনে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ হোক। তার সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। এ লক্ষ্যে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত, কিন্তু বিএনপিকে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার নিশ্চয়তা দিতে নয়।’নিরপেক্ষ সরকার না এলে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না বলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য নিয়েও কথা বলেন কাদের। বলেন, ‘জনগণ বিএনপির তথাকথিত নিরপেক্ষ নির্বাচন আগেই দেখেছে।’‘বিএনপি নেতাদের কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ছবক মানায় না। তাদের নেত্রী একসময়ে বলেছিলেন, শিশু ও পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয়। কাজেই বিএনপি নেতাদের মুখে নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা দলটির দ্বিচারিতার যে রাজনীতি তা আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।‘নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি উচ্চ আদালত কর্তৃক মীমাংসিত ইস্যু, এ নিয়ে নতুন করে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।’

বিএনপির নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি পূরণ হওয়ার নয় জানিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলেন, ‘সরকার অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো কমিশনকে একটা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহযোগিতা দিয়ে যাবে। সরকার ক্ষমতায় থাকলেও নির্বাচনসংক্রান্ত সবকিছু নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে।’‘যদিও বিএনপির কাছে নিরপেক্ষতা হলো নির্বাচন কমিশন তখনই নিরপেক্ষ, যখন বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার শতভাগ গ্যারান্টি পাবে। কিন্তু এ নিশ্চয়তা নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে দিতে পারে না।’

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কোনো ক্ষমতা নেই বলে মির্জা ফখরুলের বক্তব্যেরও জবাব দেন কাদের।

বলেন, ‘একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ ধরনের বক্তব্য দেশের গণতন্ত্র, সকল সংসদ সদস্য এবং সংবিধান ও আইনের শাসনের প্রতি নির্মম উপহাস ছাড়া আর কিছুই নয়।’

এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। সভায় যানজট ও দুর্ঘটনা রোধে মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতার বিষয়ে রাজনৈতিক নেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরি ও বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর