ঈদের আগে সময় বিপর্যয়ের প্রভাব থেকে ঈদ শেষেও মুক্তি মিলছে না রেলের।
সোমবার সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সময়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে দুটি ট্রেন দেরিতে ছেড়ে গেছে।
এর মধ্যে দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস ৩ ঘণ্টা এবং রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ১ ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছে। বিলম্বিত ট্রেন এবং ভ্যাপসা গরমে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ১০টা ১০ মিনিটে যাওয়ার কথা থাকলেও গন্তব্যের উদ্দেশ্যে প্ল্যাটফর্ম ছেড়েছে বেলা ১টা ১৫ মিনিটে।
আর রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৬টার পরিবর্তে ছেড়ে গেছে ৭টা ১৫ মিনিটে।
একতা এক্সপ্রেসের যাত্রী উৎসব পেট্রা কোম্পানির মার্কেটিং বিভাগে কাজ করেন। নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আধা ঘণ্টা আগে এসে অপেক্ষা করছি। ৪ ঘণ্টা স্টেশনে পার করলাম। ভেবেছিলাম সময়মতো পৌঁছাতে পারলে বিকেলে অফিসে গিয়ে কিছু কাজ সেরে রাখব। তা আর হলো না।’
ঈদের ছুটিতে দেশে এসেছেন বাহরাইন প্রবাসী বোরহান উদ্দিন। ধানমন্ডির এই বাসিন্দা ঘুরতে যাচ্ছেন দিনাজপুরে। তিনি বলেন, ‘৩ ঘণ্টা যাবৎ দাঁড়িয়ে আছি। ভোগান্তির কথা আর কী বলব!’
বগুড়ার সান্তাহার যাবেন নোয়াখালীর মাদ্রাসাশিক্ষক সাব্বির আহমেদ। সঙ্গে স্ত্রী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ভোগান্তির কথা মুখে বলে শেষ করা যাবে না। এত যাত্রী যাবে, অথচ তাদের জন্য স্টেশনে ভালো টয়লেটের ব্যবস্থা নেই। মানুষ কীভাবে ৩-৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘স্টেশন মাস্টারের কাছে গিয়েছিলাম, ট্রেন কয়টায় ছাড়বে বা কখন আসবে সেটা জানতে। তিনি বলতে পারলেন না। এটা কোনো কথা?’
স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, ‘আজ দুটি ট্রেন বিলম্বিত হয়েছে। ঈদ-পরবর্তী যাত্রায় ট্রেনের যে শিডিউল বিপর্যয় হয়েছিল সেটার কারণেই। তবে ধীরে ধীরে সময়টা কমে এসেছে।’