বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যৌনকর্মী নিয়ে ব্যবসার জেরে হত্যা

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২২ ১৫:২৫

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান বলেন, ‘মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার ভোরে আমরা একই এলাকার রুহেল আহমদ রেকেলকে আটক করি। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দেয়।’

নাজিম উদ্দিন ও রুহেল আহমেদ রেকেল পরস্পরের বন্ধু। দুজনেরই বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায়। এলাকায় যৌনকর্মী নিয়ে ব্যবসা করতেন তারা। এ নিয়ে বিরোধের জেরে নাজিমকে হত্যা করেন রুহেল।সোমবার রুহেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) লুৎফর রহমান।গত ১৩ জুলাই কানাইঘাটের রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের খালাইউরা থেকে নাজিম উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নাজিম রাজাগঞ্জ গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে।এই হত্যারহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) শাহরিয়ার বিন সালেহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি অ্যান্ড মিডিয়া) লুৎফর রহমান ও কানাইঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল করিম।কমিটির সদস্যরা কানাইঘাট থানায় হত্যা মামলার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ শর্মাকে ঘটনার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন আলামত উদ্ধারের জন্য প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনা দেন।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান বলেন, ‘মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার ভোরে আমরা একই এলাকার রুহেল আহমদ রেকেলকে আটক করি। জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দেয়।’পুলিশের কাছে দেয়া রুহেলের স্বীকারোক্তির বরাতে এএসপি লুৎফুর বলেন, ‘নাজিম ও রুহেলের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। মাঝেমধ্যে তারা বাইরে থেকে নারী এনে অসামাজিক কাজ করত। ঈদ-পরবর্তী সময়ে রুহেলকে যৌনকর্মী নিয়ে আসার জন্য বলে নাজিম। কিন্তু সে তা আনতে পারেনি। একপর্যায়ে নাজিম তার বন্ধু রুহেলের স্ত্রীকে নিয়ে আসার জন্য বলে।’লুৎফুর রহমান বলেন, ‘স্ত্রীকে এমন প্রস্তাব দেয়ায় রুহেল ক্ষুব্ধ হয়। ১৩ জুলাই সন্ধ্যার পর সুরমা নদীর তীরে নাজিমকে নিয়ে গিয়ে আলাপচারিতার এক ফাঁকে তার মাথায় মুগুর দিয়ে আঘাত করে রুহেল। ঘটনাস্থলেই নাজিমের মৃত্যু হয়। পরে নাজিমের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও একটি স্মার্ট ফোন নিয়ে যায় রুহেল।’এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আটক রুহেলকে কানাইঘাট থেকে সিলেট আদালতে নিয়ে আসা হচ্ছে। আদালতে সে স্বীকারোক্তি না দিলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর