মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোণার খলিলুর রহমানের শুনানি শেষ হয়েছে। মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে সোমবার তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে প্রসিকিউটর ছিলেন রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম।
মামলাটি অপেক্ষমাণ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।
২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি এ মামলার তদন্ত শেষ হয়।
শুরুর দিকে মামলায় আসামি ছিল ৫ জন। এর মধ্যে আসামি রমজান আলীর মৃত্যু হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
বাকি চার আসামি হলেন নেত্রকোণার দুর্গাপুর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের খলিলুর রহমান, তার ভাই আজিজুর রহমান, একই থানার আলমপুর ইউনিয়নের আশক আলী এবং জানিরগাঁও ইউনিয়নের মো. শাহনেওয়াজ।
বিচার চলাকালে উল্লিখিত চারজনের মধ্যে তিনজনের বিভিন্ন সময়ে মৃত্যু হয়।
মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগে ধ্বংস করা, ধর্ষণের চেষ্টা, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়।
এর মধ্যে একটি অভিযোগে ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চারজনের মধ্যে দুজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪ থেকে ১৫টি বাড়িতে লুটপাট এবং সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে খলিলুর রহমান ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চণ্ডিগড় ইউনিয়নে আল বদর বাহিনীর কমান্ডার হন। পরে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হন।
প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন বলেন, ‘চার আসামির মধ্যে বিচার চলাকালেই তিনজনের মৃত্যু হয়। একজন আসামি বেঁচে আছেন। তিনিও পলাতক।’