নড়াইলের লোহাগড়া থানার দিঘলিয়া গ্রামের সাহাপাড়ায় সাম্প্রদায়িক হামলা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার রাতে ও সোমবার সকালে তাদের লোহাগাড়া থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন, সাইদ শেখ, রাসেল মৃধা, কবির গাজী, রেজাউল শেখ ও মাসুম বিল্লাহ। তারা লোহাগড়া থানার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
লোহাগড়া থানার এসআই ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার পাঁচজনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিতে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।’
ঘটনার দিন জনরোষ সৃষ্টি ও হামলার সঙ্গে তারা জড়িত ছিলেন বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর এবং দুটি মন্দিরে হামলার ঘটনায় রোববার রাতে মামলাটি করেন লোহাগড়া থানার এস আই মাকরুফ রহমান। মামলার পরই আসামিদের ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ।
মামলায় ২০০ থেকে ২৫০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তবে ঘটনার দিনের ভিডিও ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ নিয়ে এ ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। এর আগে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ১৬ জুলাই রাতে দিঘলিয়া গ্রামের সালাহউদ্দীন কচি বাদী হয়ে আকাশ সাহার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বর্তমানে তিনি তিন দিনের রিমান্ডে আছেন।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্টে আকাশ সাহা নামের এক কলেজছাত্রের ফেসবুক আইডি থেকে গত বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বিতর্কিত কমেন্ট করার অভিযোগ ওঠে।
এর জেরে শুক্রবার বিকেলে হামলা হয় দিঘলিয়া গ্রামের সাহাপাড়ায়।
হামলাকারীরা গোবিন্দ সাহা ও দিলীপ সাহার বাড়ি, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর বাবা অশোক সাহার দোকানসহ ১০টির বেশি বাড়ি-দোকান ভাঙচুর করে। গোবিন্দ সাহার বাড়িতে আগুনও দেয়া হয়।
বিক্ষোভকারীরা ইট-পাটকেল ছোড়ার পাশাপাশি সাহাপাড়া মন্দিরের প্রতিমা, চেয়ার ও সাউন্ড বক্স ভাঙচুর করে। ভীতসন্ত্রস্ত হিন্দু পরিবারের অধিকাংশ সদস্য আশপাশের গ্রামে আশ্রয় নেন।
তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, গ্রামের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজগর আলী বলেন, ‘গ্রামে এখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক ইউনিটের সদস্য মোতায়েন আছেন।’