বিদ্যুৎ সংকটে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অফিসের কর্মঘণ্টা কমিয়ে আনার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক সমন্বয় সভায় এ প্রসঙ্গে আলোচনা হয় বলে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।
তিনি জানান, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস ভার্চুয়ালি করার চিন্তা চলছে। অফিসগুলোতে কীভাবে সময় কমিয়ে আনা যায় সেটাও ভাবা হচ্ছে।
সরকারি অফিসগুলো ভার্চুয়ালি পরিচালনার ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সমন্বয় করবে বলে জানান আহমদ কায়কাউস।
এ সময় মঙ্গলবার থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী।
তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্ত সাময়িক। বিশ্ব পরিস্থিতির উত্তরণ হলে আগের অবস্থানে ফিরে আসা হবে। ডিজেল দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করা হবে।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, এখন থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সারা দেশে এক দিন পেট্রল পাম্প বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে বন্ধ রাখা হবে, সেটা পরে জানানো হবে।
বন্দর এলাকায় সপ্তাহে দুই দিন পেট্রল পাম্প বন্ধ রাখার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ৭ জুলাই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে করোনাভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণের সময়কার অফিসসূচিতে ফেরার সুপারিশ করা হয় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এক সভায়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওই দিন সারা দেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাস পরিস্থিতি পর্যালোচনাবিষয়ক সভা শেষে এ কথা সংবাদমাধ্যমকে জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছি। এটা হয়তো সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিবেচনায়ও আসতে পারে। আমরা কোভিডের সময় আমাদের জীবনটাকে অন্যভাবে করেছিলাম। আপনারা জানেন যে কোভিডের সময় কিন্তু উৎপাদনও হয়েছে, ব্যাহত হয়নি।
‘তাহলে আমরা যদি আবার অফিস টাইম সংশোধন বা কিছু কমিয়ে আনতে পারি। পিক আওয়ারের আগে যেমন কোভিডের সময় ছিল।’
তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এটা ৯টা থেকে ৩টা করা যায় কি না বা এক দুই দিন ঘরে বসে কাজ করতে পারি কি না। এটা করলে আমাদের চাহিদাটা কমবে, উৎপাদনশীলতা বজায় থাকবে। করোনাও বাড়ছে, সব দিক দিয়ে আমাদের সুবিধা হবে। এতে আমাদের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় হবে।’