বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নড়াইলে শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় হবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২২ ১২:৫২

আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে নড়াইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।

নড়াইলের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে নড়াইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও আইনজীবী অনীক আর হক।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

শিক্ষককের গলায় জুতার মালা পরানোর ঘটনার তদন্ত চেয়ে গত ৪ জুলাই এ রিট করা হয়।

ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজকে এ আদেশ দেয়।

গত ১৮ জুন নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজে রাহুল দেব নামে একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্র ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির বহিষ্কৃত নেত্রী নুপূর শর্মাকে সমর্থন করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র তৈরী হয়।

শিক্ষক স্বপন কুমার ওই ছাত্রের পক্ষ নিয়েছেন বলেন অভিযোগ তুলে এ সময় বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা শিক্ষকদের তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসসহ অভিযুক্ত ছাত্রকে জুতার মালা পরিয়ে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।

এর পর থেকে বাড়ি না ফিরে নিজেকে আড়াল করেছেন অধ্যক্ষ স্বপন কুমার।

এক মাস আগে এই দিনে (সোমবার) হঠাৎ করেই বদলে যায় মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের পরিবেশ। এক শিক্ষার্থীর ফেসবুক পোস্টের জেরে দিনভর চলে ব্যাপক সহিংসতা। জুতার মালা পরিয়ে অপদস্থ করা হয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে।

সেই ঘটনার পর থেকেই বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। কয়েকবার প্রস্তুতি নিয়েও পিছিয়ে গেছে খোলার তারিখ। কবে শিক্ষা কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি।

কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অচিন কুমার চক্রবর্তী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আগে কয়েকবার কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে সবশেষ ২০ জুলাই কলেজ আংশিকভাবে খোলার জন্য প্রশাসনের সম্মতি পেয়েছি। সেইভাবে প্রস্তুতি চলছে।’

অন্যদিকে আতঙ্কে এখনও আত্মগোপনে আছেন সেই অধ্যক্ষ। বাড়িতে ফিরতে ভয় পাচ্ছেন তিনি। নিরাপদ মনে করছেন না কর্মক্ষেত্রকেও।

অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই মুহূর্তে বাড়িতে ফিরলে আবারও অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এলাকার পরিবেশ এখনও ঠিক হয়নি। তাই আত্মগোপনে রয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর