সাতক্ষীরার শ্যামনগরে চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের প্রধান আসামি লাল্টু বাহিনীর প্রধান আব্দুল হামিদ লাল্টুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
এ সময়ে মামলার আরেক আসামি ও বাহিনীর সদস্য বাবলু গাজীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
যশোরের ঝাঁপা বাঁওড় এলাকা থেকে রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৬-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মোসতাক আহমদ।
তিনি জানান, র্যাব-৬-এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, আসামিরা যশোরের মণিরামপুর থানা এলাকায় অবস্থান করছে। এর ভিত্তিতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মণিরামপুর থানাধীন ঝাপা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৫২ বছরের লাল্টু ও ৪২ বছরের বাবলু গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অধিনায়ক মোসতাক আহমদ বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
গত ০৮ জুলাই সাতক্ষীরার শ্যামনগরের টেংরাখালী গ্রামের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা-সদস্যদের সঙ্গে রমজাননগর ইউপি আওয়ামী লীগের নেতাদের বৈঠক চলাকালে হামলা চালায় সুন্দরবনের জলদস্যু আব্দুল হামিদ লাল্টু ও তার প্রধান সহযোগী আজগার আলী বুলুর।
এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করতে তাদের নেতৃত্বে ১১০ থেকে ১২০ জনের একটি দল রামদা, চায়নিজ কুড়াল, রড, লাঠি, হকিস্টিক, জিআই পাইপসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
হামলাকারীরা কার্যালয়ের ভেতরের অনেক আসবাব ও অফিসের সামনে থাকা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় বৈঠকে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা বাধা দিলে তারা তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে স্থানীয়রা এসে জখম ১৮ থেকে ২০ জনকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত কাদের শেখকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনিও মারা যান।
এ ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামিসহ এখন পর্যন্ত মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।