বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাসপাতালে নার্সের মরদেহ: পরিচালক ৩ দিনের রিমান্ডে

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২২ ০০:২২

রিমার বড় বোন তনিমা প্রামাণিক নিউজবাংলাকে জানান, রিমা দুই বছর ধরে এই হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করছেন। হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল। ৯ জুলাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ফোনে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফেরেন রিমা। পরে ১১ জুলাই ভোরে হাসপাতাল থেকে ফোন করে তাকে জানানো হয় তার বোন আত্মহত্যা করেছেন।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইউনাইটেড হাসপাতাল অ্যান্ড অর্থোপেডিক্স সেন্টারে নার্সের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালককে তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

পরিচালক হানিফুর রহমান সুমনকে রোববার বিকেলে কিশোরগঞ্জ ২ নম্বর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে জ্যেষ্ঠ বিচারক কিশোর দত্ত তাকে রিমান্ডে পাঠান।

ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মৃত রিমা প্রামাণিকের বাবা সেন্টু প্রামাণিক গত ১২ জুলাই ভৈরব থানায় দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হানিফুর রহমান সুমনকে। এ ছাড়া এজাহারে নাম আছে নার্স লিজা আক্তারের।

হাসপাতাল থেকে গত ১১ জুলাই নার্স রিমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রিমার বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পিরিজকান্দি গ্রামে।

রিমার বড় বোন তনিমা প্রামাণিক নিউজবাংলাকে জানান, রিমা দুই বছর ধরে এই হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করছেন। হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল। ৯ জুলাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ফোনে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফেরেন রিমা। পরে ১১ জুলাই ভোরে হাসপাতাল থেকে ফোন করে তাকে জানানো হয় তার বোন আত্মহত্যা করেছেন।

তনিমা বলেন, ‘আমি এসে তাকে দেখি তার গলায় দাগ। বিষয়টি রহস্যজনক।’

মামলার বাদী নিহত রিমার বাবা সেন্টু প্রামাণিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাসপাতালের বিছানায় রিমার মরদেহ পড়ে ছিল। সে যদি ঝুলে আত্মহত্যা করে পুলিশের উপস্থিতি ছাড়াই তারা মরদেহটি কেন নামাল?’তিনি বলেন, ‘তাকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। আমি গতকাল না বুঝে অপমৃত্যু মামলা করেছিলাম। আবার হত্যা মামলা করেছি। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’

ঘটনার দিন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হানিফুর রহমান সুমন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে শনিবারে এসেছে রিমা। রোববার রাত ৩টার দিকে আমাকে ফোন করে জানায়, সে সকালে বাড়ি চলে যাবে। তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এ কথা শুনে আমি তার আরেক সহকর্মী লিজাকে ফোন করে বলি, রিমা পাগলামি করছে। তুমি তাকে তোমার কাছে নিয়ে আসো।

‘এ কথা শুনে লিজা গিয়ে রিমাকে তার রুমে নিয়ে এসে বোঝানোর চেষ্টা করে। এ সময় লিজা আরেকজন রোগী দেখতে গেলে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।’

এ বিভাগের আরো খবর