বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জালিয়াতি করে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২২ ০০:১৭

চট্টগ্রামের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক মাসুদ কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জালিয়তির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এহসান মুরাদ, সার্ভেয়ার আবদুল মোমিন, সাইদুল হক মজুমদার এবং অফিস সহকারী শোয়েব মিলে প্রতারক শাহ আলমকে আটক করেন।’

চট্টগ্রামে জালিয়াতি করে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতচেষ্টার সময় শাহ আলম নামে এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করেছে জেলা প্রশাসন।

রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে তাকে আটক করা হয়।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (এলএ) মাসুদ কামাল।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মিরসরাই অর্থনৈতিক জোনের অধিগ্রহণ করা সাড়ে তিন একর জমির ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেন ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বাসিন্দা শাহ আলম। এই জমির বিপরীতে ২ কোটি ৪৯ লাখ ১৭ হাজার ৬০২ টাকা ৫০ পয়সার জন্য আমমোক্তার দলিল মূলে আবেদনটি করেন তিনি।

আমমোক্তার মানে হলো তিনি মূল মালিকের নিযুক্ত আইনগত প্রতিনিধি।

শাহ আলমের আমমোক্তার দলিল অনুযায়ী, ওই জায়গার রেকর্ডীয় মালিক খায়রুল বশর নামের এক ব্যক্তি। মৃত্যুর পর তার তিন ওয়ারিশ মোছাম্মৎ আর জাহান রীনা, সাইফুল ইসলাম ও শামসুন্নাহার মিলে শাহ আলমকে জমিটি আমমোক্তার করেন।

রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর এই আবেদন নিয়ে আসলে বড় অঙ্কের টাকা হওয়ায় বিষয়টি যাচাই শুরু করেন সংশ্লিষ্টরা। এ সময় আবেদনকারী শাহ আলমের অসংলগ্ন কথাবার্তা ও দলিলটি যাচাই করে সন্দেহ হয় তাদের।

এ অবস্থায় অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক মাসুদ কামাল আমমোক্তার দাতাদের একজন সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় শাহ আলমের আমমোক্তার দলিলটিকে জাল বলে দাবি করে কোনো আমমোক্তার নিযুক্ত করা হয়নি বলে জানান সাইফুল।

বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরেক দাতা শামসুন্নাহার ও তার মাতা মোছাম্মৎ আর জাহান রীনার সঙ্গে কথা বলা হয়। এ সময় তারা জানান, রেকর্ডীয় মালিক খায়রুল বশরের ওয়ারিশ ৩ জন নয়, ৫ জন। এই পাঁচ ওয়ারিশের সবাই আমমোক্তার দলিলটা জাল বলে দাবি করেন। এতে শাহ আলমের জালিয়াতির বিষয়টি স্পষ্ট হয়।

অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক মাসুদ কামাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জালিয়তির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এহসান মুরাদ, সার্ভেয়ার আবদুল মোমিন, সাইদুল হক মজুমদার এবং অফিস সহকারী শোয়েব মিলে প্রতারক শাহ আলমকে আটক করেন। পরে আমরা তাকে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করি।’

এ বিভাগের আরো খবর