বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাঘারপাড়া পৌর মেয়রকে বয়কটের ঘোষণা ৭ কাউন্সিলরের

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২২ ০০:০৪

কাউন্সিলর শহিদুল বলেন, ‘আজকের পর থেকে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ পৌর কাউন্সিলর মেয়রকে বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছি। আজ থেকে পৌরসভার কোনো কার্যক্রমে আমরা অংশ নেব না।’

যশোরের বাঘারপাড়া পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চুর বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ১৪টি অভিযোগ তুলেছেন ৭ জন কাউন্সিলর।

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন করে মেয়রকে বয়কটের ঘোষণাও দিয়েছেন তারা। তবে অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন মেয়র কামরুজ্জামান।

যশোর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে রোববার বিকেলে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে পৌরসভার আইইউআইডিপি প্রকল্পের প্রায় ১০ কোটি টাকার রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হচ্ছে না।

‘পৌরসভায় ৪০টি ঠিকাদারি লাইসেন্স ইস্যু করা আছে। এর মধ্যে তার (মেয়র) আত্মীয়-স্বজনের ১০-১২টি লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে। তারাই পৌরসভার সব কাজের দরপত্রে অংশ নিচ্ছেন। কিন্তু মেয়রের পক্ষের লোকজন না বলে অন্যদের লাইসেন্স নবায়ন করা হচ্ছে না। ফলে মেয়রের মতের বাইরে কেউ দরপত্রে অংশ নিতে পারছে না।’

সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলররা অভিযোগ করেন, ২০১৬ সাল থেকে পৌরসভা সচিবের পদ শূন্য পড়ে আছে। প্রকৌশলীকে সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এছাড়া অস্থায়ী কর্মচারী রবিউল ইসলামকে দিয়ে সহকারী হিসাবরক্ষকের কাজ করা হচ্ছে। তাকে দিয়ে ভূয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে বড় অংকের টাকা আত্মসাৎ করছেন মেয়র কামরুজ্জামান।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, কোনো কাউন্সিলরকে বিল-ভাউচার দেখতে দেয়া হয় না। মাসিক সভার রেজ্যুলেশনও দেয়া হয়না। মাসে দুয়েকদিন মেয়র অফিস করেন। বিভিন্ন প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে কাউন্সিলরদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।

এমন ১৪ অভিযোগ তুলে পৌরসভার ৭ কাউন্সিলর মেয়র কামরুজ্জামানকে বয়কটের ঘোষণা দেন।

কাউন্সিলর শহিদুল এ বিষয়ে বলেন, ‘আজকের পর থেকে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ পৌর কাউন্সিলর মেয়রকে বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছি। আজ থেকে পৌরসভার কোনো কার্যক্রমে আমরা অংশ নেব না। একই সঙ্গে মেয়রের সব অবৈধ কাজের সহযোগী হিসেবে প্যানেল মেয়র শরীফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানাচ্ছি।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র কামরুজ্জামান বলেন, ‘পৌরসভার সব অবকাঠামো উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তারা নিয়মিত পরিদর্শন করেন। গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঠিকাদারি লাইসেন্স নবায়ন করা হয়। সেখানে আমার আত্মীয়-স্বজন বলে কোনো কথা না। এছাড়া কাজের বিল-ভাউচার সংশ্লিষ্ট অডিট কর্তৃপক্ষ নিয়মিত অডিট করে।’

সংবাদ সম্মেলন করা কাউন্সিলরদের মধ্যে শহিদুল ছাড়াও ছিলেন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফয়সাল আহম্মেদ, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহিন আলম, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওলিয়ার রহমান, ১, ২, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর সম্পা রানী সরকার, ৪, ৫, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর নমিতা স্বর্মা এবং ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর তাসলিমা খাতুন।

এ বিভাগের আরো খবর