নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের এ এম বদরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হেলেনা আক্তারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। হেলেনার স্বজনদের অভিযোগ, জমির বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন পুলিশের সামনে এই হামলা চালিয়েছে।
উপজেলার লেংগুরদী গ্রামে রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত হেলেনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
আড়াইহাজার থানার উপপরির্দশক আবদুর রহিম জমির বিরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও পুলিশের সামনে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি জানান, হেলেনার সঙ্গে তার স্বজনদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
তিনি রাতে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হেলেনার মা জমির বিরোধের বিষয়টি থানায় অভিযোগ দেন। এরপর আমরা সেটি তদন্ত করতে যাই। তদন্ত শেষ করে আমরা ফিরেও আসি। আমরা তাদের বলেছি জমিজমার বিষয়ে আদালতে মামলা করতে। শুনেছি আমরা চলে আসার পর হেলেনাকে মারধর করা হয়েছে।’
হেলেনার ছোটো বোনের স্বামী মোহাম্মদ শাহাজান মিয়া বলেন, ‘আমার শাশুড়ির জায়গাটি বাড়ি থেকে একটু দূরে। সে জায়গাটি আমাদের আত্মীয় নুরুল ইসলাম, রুহুল আমিন, আল আমিন ও বিলকিসসহ কয়েকজন দখল করে রাখার চেষ্টা করছে। শুক্রবার বিকেলে হেলেনা সেখানে গেলে তারা গালমন্দ করে সেখান থেকে চলে যেতে বলে। তখন হেলেনা আপা ৯৯৯ এ ফোন করলে পুলিশ আসে। তবে পুলিশ সমাধান করেনি।
‘তিনি ঘটনার সমাধান নিজেদের মধ্যে করতে বলে চলে যায়। পরে আমার শাশুড়ি নুরুন্নাহার বেগম থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। আজ (রোববার) দুপুরে বাড়িতে ছিলেন হেলেনা আপা আর আমার শাশুড়ি। তখন অভিযোগের তদন্তে যায় কয়েকজন পুলিশ। ওই সময় পুলিশ সদস্যদের সামনেই হঠাৎ তারা বাড়ির ভেতরে ঢুকে গালমন্দ করে ও লাঠি নিয়ে পেটাতে থাকে। তখন একজন পুলিশের সামনে তারা হেলেনা আপাকে ঘুষি মারে। তিনি মাটিতে পড়ে যান। এরপর তাকে আমরা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হেলেনার আত্মীয় নুরুল ইসলাম বলেন, ‘হেলেনা আমার ভাগ্নি হয়। দুপুরে আমি পুলিশের সঙ্গে দাঁড়ায় ছিলাম। আমরা কথা বলতে ছিলাম। তখন মহিলারা মহিলারা মারামারি লাগছে। হেলেনারে কে মারছে আমি জানি না।’
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই। তবে পুলিশের সামনে মারপিট করার বিষয়টি সঠিক নয়। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মামলা হয়নি।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, ‘আমি আপনার কাছ থেকে জানলাম। আমরা খোঁজখবর নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেব।’