বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতিবেশীদের ‘সংঘর্ষে’ শিশুর মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৫

  •    
  • ১৭ জুলাই, ২০২২ ২২:২৩

মামলার বরাতে এসআই জানান, প্রতিবেশীদের সংঘর্ষে আঘাত লাগায় নিহত হয়েছে শিশু জেরিন। তবে চিকিৎসক বলছেন, আঘাতে নয়, পুষ্টিহীনতায় ভুগে শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই বছরের শিশু নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে চিকিৎসক বলছেন, শিশুর গায়ে আঘাতের কোনো চিহ্ন মেলেনি। পুষ্টিহীনতায় ভুগছিল সে।

উপজেলার ভমরাদহ ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামে শনিবার দুপুরে সংঘর্ষের ওই ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি জানাজানি হয়েছে রোববার। এ ঘটনায় শিশুর বাবা শনিবার গভীর রাতে ১১ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নিউজবাংলাকে এসব তথ্য রোববার রাতে নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পীরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাধন চন্দ্র রায়।

মৃত শিশুর নাম জেরিন আক্তার। সে মন্ডলপাড়া গ্রামের জাকির হোসেন ও লিপি আক্তারের মেয়ে।

মামলার বরাতে এসআই জানান, গত শুক্রবার বিকেলে উঠানে মেয়েকে কোলে নিয়ে বসে ছিলেন লিপি। সামনে ফুটবল খেলছিল প্রতিবেশি শিশুরা। এর মধ্যে বল গিয়ে লাগে জেরিনের মাথায়। এ নিয়ে শিশুদের বকাঝকা করলে প্রতিবেশি এক শিশুর বাবা আব্দুল মতিনের সঙ্গে লিপি ও জাকিরের তর্কাতর্কি হয়।

এসআই আরও জানান, সেদিন ঝগড়া শেষ হলেও পরদিন সকালে আবার এ বিষয়টি নিয়ে আব্দুল মতিন ও জাকিরের তর্ক হয়। এক পর্যায়ে দুপক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। সে সময় লিপির কোলে থাকা জেরিনের গায়ে ফের আঘাত লাগে। পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গভীর রাতে আব্দুল মতিনসহ ১১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন জেরিনের বাবা জাকির।

শিশুর গায়ে আঘাতের চিহ্ন আছে কি না জানতে চাইলে এসআই সাধন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিশুটির মাথায় রক্ত জমাট বাঁধার মতো লালচে চিহ্ন আছে।’

জেরিনকে পীরগঞ্জ হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে দেখেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কৃষ্ণ চন্দ্র রায়। তিনি নিউজবাংলাকে জানান, শিশুটিকে শনিবার দুপুর ১২টা-সাড়ে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় সেখানে আনা হয়।

কৃষ্ণ চন্দ্র বলেন, ‘তারা আঘাতে অচেতন হওয়ার কথা বললেও আমরা এক্সটার্নাল কোনো ইনজুরি পাইনি। চিকিৎসা দেয়ার জন্য শিশুটিকে ওয়ার্ডে ভর্তি করি। প্রায় ৩০ মিনিট পর সে মারা যায়।

‘প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা গেছে শিশুটি অনেকদিন ধরেই পুষ্টিহীনতায় ভুগছিল। এর জন্য আগেও ডাক্তার দেখিয়েছিলেন তার বাবা-মা। এ কারণে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে বলে মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।’

মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে বলে এসআইয়ের দেয়া তথ্যের বিষয়ে ডা. কৃষ্ণ বলেন, ‘পুষ্টিহীনতায় ভোগা বাচ্চাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় এমন লালচে স্পট থাকে। ওই শিশুটি মারাত্মক পুষ্টিহীনতায় ভুগছিল।’

এ বিভাগের আরো খবর