তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ মনে করেন, দেশে একটি গোষ্ঠী আছে, যারা দেশে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি কামনা করছে। তারা রীতিমতো এ নিয়ে প্রার্থনা করছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি প্রতিষ্ঠানের আলোচনায় তিনি এই কথা বলেন।
সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালেরে ১৬ জুন শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের স্মরণে এই আলোচনার আয়োজন করে স্বপ্ন ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশ যখন এগুচ্ছে, করোনা মহামারির মধ্যে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়েছে, তখন বিএনপি এবং কিছু গোষ্ঠী প্রার্থনা করছে বাংলাদেশটা কেন শ্রীলঙ্কা হচ্ছে না, কারণ তারা প্রয়োজনে নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করতে চায়।
‘কিন্তু আইএমএফ তালিকায় অর্থনীতিতে পৃথিবীর প্রথম ৫০টি দেশের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়া থেকে মাত্র দুটি দেশ- ভারত ও বাংলাদেশ। ২০২৫ সালে আমাদের অর্থনীতি আরও ওপরের দিকে যাবে।
বিএনপি নেতাদেরকে ‘দূতাবাসে না গিয়ে’ জনগণের কাছে যাওয়ার পরামর্শও দেন তথ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘এগুলো ২০১৪ সালেও করেছিলেন, ২০১৮ সালেও করেছিলেন, কোনো লাভ হয় নাই, এবারও কোনো লাভ হবে না।’
হাছান বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি এখন আর মাঠে নেই। রাতের বেলায় বিভিন্ন দূতাবাসে যাওয়া, পার্টি করা, এই হচ্ছে তাদের রাজনীতি। আমি তাদের অনুরোধ জানাব, রাত-বিরাতে এদিক সেদিক ঘুরে ফিরে, দূতাবাসে ধরনা দিয়ে কোনো লাভ হবে না, আপনারা জনগণের কাছে যান।’
শেখ হাসিনার কারান্তরীণ দিবস উপলক্ষ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘বিনা ওয়ারেন্টে সবাইকে অবাক করে দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কারণ, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতি-দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে ক্ষমতা গ্রহণ করলেও তারা নিজেরাই নানা অনাচার-দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছিল।
‘স্বামীর অপরাধে অসুস্থ স্ত্রীকে গ্রেপ্তার, বাবার অপরাধে নাবালিকা সন্তানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, গণতন্ত্রকে শিকলবন্দী করা হয়েছিল। রাজনৈতিক নেতাদের ওপর নজরদারি, সভা-সমাবেশে যাওয়া বন্ধ করা হয়েছিল এবং তখন একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনা অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কারাগারে থেকেই জননেত্রী যেভাবে দল পরিচালনা করেছেন আর তার প্রতিনিধি হিসেবে শ্রদ্ধাভাজন প্রয়াত নেতা জিল্লুর রহমান যেভাবে দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন সেই কারণেই আমরা ২০০৮ সালের ১১ জুন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে মুক্ত করতে পেরেছিলাম।
‘খালেদা জিয়া গ্রেপ্তারের পর বিএনপি কোনো আন্দোলন করতে পারেনি, আমাদের আন্দোলনে খালেদা জিয়াও মুক্তি লাভ করেছিলেন।’