বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গ্রিসে বিধ্বস্ত বিমানের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল সোমবার

  •    
  • ১৭ জুলাই, ২০২২ ১৬:৪২

সার্বিয়ান মন্ত্রীর বরাত দিয়ে রোববার আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, আন্তনভ এএন-১২ বিমানটিতে সার্বিয়ার তৈরি ইলিউমিনিটিং মর্টার মাইন (আলোকচ্ছটাযুক্ত মর্টার শেল)সহ প্রায় ১১ টন অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিল। এর গন্তব্য ছিল বাংলাদেশ।

সার্বিয়া থেকে যাত্রা করার পর গ্রিসে বিধ্বস্ত কার্গো বিমানটির বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা ছিল সোমবার। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘ওই ফ্লাইটটির ঢাকায় অবতরণের অনুমোদন ছিল। এটির ১৮ জুলাই দুপুর ১২টায় শাহজালালে অবতরণের কথা ছিল।’

বিধ্বস্ত কার্গো বিমানটিতে গোলাবারুদের চালান ছিল বলে জানিয়েছেন সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী নেবোজসা স্টেফানোভিচ।

সার্বিয়ান মন্ত্রীর বরাত দিয়ে রোববার আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, রাশিয়ার তৈরি আন্তনভ এএন-১২ মডেলের বিমানটিতে সার্বিয়ার তৈরি ইলিউমিনিটিং মর্টার মাইন (আলোকচ্ছটাযুক্ত মর্টার শেল)সহ প্রায় ১১ টন অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিল। ইউক্রেনের কোম্পানি মেরিডিয়ান লিমিটেডের কাছ থেকে ভাড়া করা বিমানটির গন্তব্য ছিল বাংলাদেশ। বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানের আট আরোহীর সবাই মারা গেছেন।

জর্ডান, সৌদি আরব ও ভারত হয়ে এই বিমানের ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল বলেও জানান নেবোজসা স্টেফানোভিচ। তিনি বলেন, ‘বিমানের ক্রুদের প্রত্যেকেই ইউক্রেনের। এর চেয়ে আর বেশি তথ্য নেই আমার কাছে।’

АN-12 aircraft, owned by an Ukrainian company, that crashed in Greece yesterday, took off from the Nis airport and was transporting Serbian military industry shipment towards its end buyer - Ministry of Defense of Bangladesh.

— Небојша Стефановић (@NesaStefanovic) July 17, 2022

স্থানীয় সময় শনিবার রাতে গ্রিসের উত্তরাঞ্চলীয় কাভালা শহরে কার্গো বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

গ্রিসের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইআরটি তাৎক্ষণিকভাবে জানায়, বিমানটিতে সব মিলিয়ে ১২ টনের মতো মালামাল ছিল। দুর্ঘটনাটি খুবই বিপজ্জনক।

এএফপি বলছে, ইউক্রেনভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের ওই বিমানটির ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেয়ায় পাইলট কাভালা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করাতে চেয়েছিলেন।

নানা মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। একপর্যায়ে বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘রাত পৌনে ১১টার দিকে বিকট শব্দ শুনে বাইরে এসে দেখি বিমানটি আগুনে পুড়ছে। পরপর কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।’

স্থানীয় একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে সাতটি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি দুর্ঘটনাস্থলে যায়। তবে বিস্ফোরণের কারণে ঘটনাস্থলে গাড়িগুলোর পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়।

অস্ত্র ও গোলাবারুদ বহনকারী বিমানটি যে এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে, তার দুই কিলোমিটারের মধ্যে বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। সবাইকে ঘর থেকে বাইরে বের না হতে বলা হয়েছে।

রোববার সকালে ধ্বংসস্তূপের স্থানটি পরীক্ষা করতে পাঠানো হয় ড্রোন।

গ্রিসের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, স্থানটি নিরাপদ মনে না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকা পরিদর্শনে যাবেন না দেশটির সেনাবাহিনী, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল এবং পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্যরা।

গ্রিসের থেসালোনিকিতে ইউক্রেনের দূত ভাদিম সাবলুক দুর্ঘটনাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। নিহতদের পরিচয় কর্তৃপক্ষকে দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, বিমানটি বাংলাদেশে যাচ্ছিল।

সার্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যবশত কিছু সংবাদমাধ্যম অনুমান করেছে, বিমানটি ইউক্রেনের উদ্দেশে অস্ত্র বহন করছিল। কিন্তু এ তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য।

এ বিভাগের আরো খবর