খুলনার কয়রা উপজেলায় কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।
দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চরামুখা খালের গোড়ার উত্তর দিকে রোববার রাতে ভাঙন শুরু হয়। রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রায় দেড় শ মিটার নদে বিলীন হয়েছে।
বাঁধটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছে সাতক্ষীরার পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ কার্যালয়।
কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (পুর) মশিউল আবেদীন বলেন, ‘জাইকার অর্থায়নে ওই বাঁধটির নির্মাণকাজ চলছিল। সেখানে ভাঙনের কোনো সম্ভাবনা ছিল না। বাঁধের সামনে বেশ বড় সমতল চর ছিল।’
‘আজ রাতে হঠাৎ করে নদীভাঙন শুরু হয়। একপর্যায়ে ওই ভাঙন বাঁধের দিকে এগিয়ে আসে। সকাল ৮টা পর্যন্ত বাঁধের ১৫০ মিটারের বেশি নদে চলে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘ভাঙনের পর স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে সেখানে সংস্কারের কাজ শুরু করেছিল। তবে বেলা ১১টার দিকে জোয়ার শুরু হলে আর কাজ করা সম্ভব হয়নি। দুপুরের পর ভাটা শুরু হলে আবারও তারা সংস্কারকাজ শুরু করবে। আমরা তাদের আর্থিক ও অন্যান্য সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করব।’
পানি প্রবেশ ঠেকাতে সেখানে রিং বাঁধ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বাঁধের ভেঙে যাওয়া অংশ দিয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে লোকালয়। দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ওসমান গনি বলেন, ‘ওই এলাকায় ভাঙনের ফলে আজ দুপুরে যে পরিমাণ পানি ঢুকবে, তা প্রায় ৫টি গ্রাম প্লাবিত করবে।
‘এর মধ্যে চরমুখা, দক্ষিণ বেদকাশি, মধ্যপাড়া, ঘড়িলালা ও রাতাখালি গ্রামের অধিকাংশ এলাকা তলিয়ে যাবে। সেখানে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ বসবাস করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া বিকেলের মধ্যে বাঁধ মেরামত করতে না পারলে রাতের জোয়ারে পুরো দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হবে। এই ইউনিয়নে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বসবাস করেন।’