পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় এক পর্যটক দম্পতির ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বাস শ্রমিকদের বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনা ভিডিও করার সময় তাদের মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
শনিবার বিকেল ৩টার দিকে কুয়াকাটা সংলগ্ন তুলাতলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের।
আহত পর্যটকরা হলেন মো. রুবেল, তার স্ত্রী মোসাম্মৎ হনুফা বেগম এবং রিপন মাহমুদ।
হামলার শিকার ব্যবসায়ী রুবেল জানান, নরসিংদীর বাবুর হাট থেকে তারা শিশু সন্তানসহ ৮ জন বরিশাল আসেন। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেখান থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশে ‘ছন্দা’ নামের (পটুয়াখালী-ব-৩১-০০৪৫) বাসে ওঠেন।
তিনি জানান, পথে তার শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়লে তার নির্ধারিত সিটে শিশুকে শুইয়ে রেখে নিজে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় বাসের চালকের সহকারী এসে দাঁড়িয়ে থাকলে একজনের বাড়তি ভাড়া গুনতে হবে বলে উচ্চবাক্য করেন।
এ ঘটনার কিছু অংশ ভিডিও করেন রুবেল এবং পাশের সিটে বসা পর্যটক লক্ষ্মীপুর থেকে কুয়াকাটা ভ্রমণে আসা রিপন মাহমুদ। বিকেলে বাসটি কুয়াকাটায় এসে থামতেই বাস শ্রমিকরা সংঘবদ্ধভাবে পর্যটক পরিবারটির ওপর হামলে পড়ে। ভিডিও করার জন্য মারধর করা হয় পর্যটক রিপন মাহমুদকেও।
তাৎক্ষণিক এ ঘটনা ৯৯৯-এ ফোন করে জানান ভুক্তভোগীরা। মহিপুর থানার এসআই মোজাম্মেল গিয়ে বাসের চালক মো. কামাল ও সুপারভাইজার জামালসহ ওই পর্যটকদের থানায় নিয়ে যান।
মহিপুর থানার ওসি মো. আবুল খায়ের জানান, পর্যটক পরিবারটি লিখিত অভিযোগ দিতে অস্বীকার করায় আইনগত পদক্ষেপ নেয়া যায়নি। তবে আলোচনা করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি জানান, লিখিত অভিযোগ না পেলেও পুরো ঘটনা উল্লেখ করে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ছন্দা পরিবহনের মালিক মো. মিজানুর রহমান এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
মিজানুর রহমান জানান, এ রকম ঘটনা আর যাতে না ঘটে সেদিকে নজর দেয়া হবে।