বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেঘনায় অস্বাভাবিক জোয়ার, লক্ষ্মীপুরে ২০ গ্রাম প্লাবিত

  •    
  • ১৬ জুলাই, ২০২২ ২১:২৭

পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ জানান, গত তিন দিনে মেঘনার পানি চার-পাঁচ ফুট বেড়েছে। পূর্ণিমার কারণে নদীতে পানি বাড়ছে। এটি আরও কয়েক দিন থাকবে। ভাটায় লোকালয় থেকে পানি নেমে যায়, জোয়ার এলে আবার ডুবে যায়।

মেঘনা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ জানান, গত তিন দিনে মেঘনার পানি চার-পাঁচ ফুট বেড়েছে। পূর্ণিমার কারণে নদীতে পানি বাড়ছে। এটি আরও কয়েক দিন থাকবে। ভাটায় লোকালয় থেকে পানি নেমে যায়, জোয়ার এলে আবার ডুবে যায়।

অস্বাভাবিক জোয়ারে রামগতি ও কমলনগরে ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। গত দুদিনে এই উপজেলায় দুই শতাধিক পরিবার ভাঙনের মুখে পড়ছে বলে জানিয়েছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

শুক্রবার দুপুরে কমলনগরে গিয়ে দেখা যায়, চরলরেন্স, চরফলকন, লধূয়া, চরকালকিনি, চরমার্টিন, মতিরহাট নাছিরগঞ্জ জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, মেঘনার তীরবর্তী এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি সহজে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এতে নদীভাঙনসহ উপকূলীয় বাসিন্দাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।

তারা জানান, কমলনগরের কালকিনি, সাহেবেরহাট, পাটওয়ারীরহাট, চরফলকন, চরমার্টিন, চরলরেঞ্চ ইউনিয়ন এবং রামগতির আলেকজান্ডার, বড়খেরী, চরগাজী, চরআবদুল্লাহ ইউনিয়নের ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়।

কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স এলাকার বাসিন্দা মামুনুর রশিদ ও জসিম উদ্দিন জানান, পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানি তিন দিন ধরে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার পানি বেশি বেড়েছে। নদী তীরবর্তী অধিকাংশ বসতবাড়িতে পানি উঠে গেছে।

তারা জানান, ইউনিয়নে অনেক ঘের ও পুকুরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

একই এলাকার কুলছুমা আক্তার জানান, জোয়ারের পানিতে তাদের চুলা তলিয়ে গেছে। এতে রান্না করতে সমস্যা হচ্ছে।

চরলরেন্সের বাসিন্দা রহিমা আক্তার, বিবি মরিয়ম, ছকিনা বেগম, রাহিমা বেগমসহ অনেক নারী তাদের দুর্ভোগের কথা জানান। শিশুসন্তান ও গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

রামগতি উপজেলা চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল জানান, রামগতি উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরআবদুল্যা ইউনিয়ন পুরোটাই প্লাবিত হয়েছে। বড়খেরী, চরগাজী, চরআলেকজান্ডারসহ কয়েকটি ইউনিয়ন তিন দিন ধরে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে আছে।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলার কয়েকটি এলাকা অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর