ভোলার লালমোহনে রুমা আক্তার নামে ১৪ বছরের এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের মহেষখালী গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে রুমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের চাপরাশি বাড়ির সিদ্দিকের মেয়ে এবং স্থানীয় মহেষখালী ফজর আলী দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
জানা যায়, প্রায় ১০ মাস আগে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন রুমার মা নাজমা বেগমও। সেই মৃত মায়ের শাড়ি গলায় পেঁচিয়েই এবার ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় রুমাকে।
রুমার বাবা সিদ্দিক জানান, রুমা ও তার বড় বোন ঝুমাসহ পরিবারের সবাই একসঙ্গে সকালের খাবার খান। পরে রুমার সৎমাকে নিয়ে তিনি গজারিয়া বাজারে একটি কাজে যান। কাজ সেরে বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের দরজা-জানালা সব বন্ধ এবং বড় মেয়ে ঝুমা বারান্দায় ঘুমাচ্ছে।
এ সময় ঝুমাকে ডাকলে বারান্দার গ্রিলের দরজা খুলে দেয় সে। তবে মাঝঘরের দরজা বন্ধ থাকায় তারা ভেবেছিলেন, দরজা বন্ধ করে ঘুমাচ্ছে রুমা। তাই তাকে না ডেকে কাজের উদ্দেশে আবারও বেরিয়ে যান সিদ্দিক। পরে স্থানীয়দের কাছে তিনি জানতে পারেন রুমা গলায় ফাঁস দিয়েছে।
সিদ্দিক বলেন, ‘রুমার সামান্য মানসিক সমস্যাও ছিল। এ জন্যই হয়তো সে গলায় ফাঁস দিয়েছে।’
রুমার সৎমা রাবেয়া বেগম বলেন, ‘ভেবেছিলাম রুমা ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমাচ্ছে। তবে অনেকক্ষণ হয়ে যাওয়ায় ঘরের বাইরে থেকে ভেতরে উঁকি দিয়ে রুমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখি। পরে চিৎকার দিলে আশপাশের মানুষ ছুটে আসে। পুলিশ এসে রুমাকে নিচে নামায়।’
লালমোহন থানার ওসি (তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’