বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেঘনার জোয়ারে প্লাবিত লক্ষ্মীপুরের ২০ গ্রাম

  •    
  • ১৬ জুলাই, ২০২২ ১০:২৯

পাউবো কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সামনে পূর্ণিমা, তাই নদীতে পানি বাড়ছে। ভাটা পড়লে লোকালয় থেকে পানি নেমে যায়, আবার জোয়ার এলে লোকালয়ে পানি বাড়ে। এমনটি আরো কয়েক দিন থাকবে।’

লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এ ছাড়া অস্বাভাবিক জোয়ারের তোড়ে ভাঙনের মুখে পড়েছে নদীপাড়ের প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, গত তিন দিনে ৪-৫ ফুট বেড়েছে নদীর পানি।

ফলে কমলনগর উপজেলার চরলরেঞ্চ, চরফলকন, লধূয়া, চর কালকিনি, চরমার্টিন, মতিরহাট, নাছিরগঞ্জ এবং রামগতি উপজেলার আলেকজান্ডার, বড়খেরী, চরগাজী, চরআবদুল্লাহ ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, মেঘনার তীরবর্তী এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি সহজে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এতে নদীভাঙনসহ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় নদীর তীরবর্তী মানুষের।

কমলনগর উপজেলার চরলরেঞ্চ এলাকার বাসিন্দা মামুনুর রশিদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানি গত ৩ দিন বাড়ছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার পানি বেশি বেড়েছে। এতে নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন বসতবাড়িতে পানি উঠে গেছে। পানিতে ভেসে গেছে মাছের ঘের ও অনেক পুকুরের মাছ। ক্ষয়ক্ষতির মুখে বিভিন্ন ফসল।’

একই এলাকার কুলছুমা আক্তার বলেন, ‘জোয়ারের পানিতে চুলা তলিয়ে গেছে। এতে রান্না করতে সমস্যা হচ্ছে।’

শিশুসন্তান ও গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়ার কথা জানিয়েছেন রহিমা আক্তার, বিবি মরিয়ম, ছকিনা বেগম ও রাহিমা বেগমসহ অনেকে।

রামগতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফ উদ্দিন আজাদ সোহেল বলেন, ‘উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চর আবদুল্যাহ ইউনিয়নের পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া বড়খেরী, চরগাজী, চরআলেকজান্ডারসহ কয়েকটি ইউনিয়নে তিন দিন ধরে জোয়ারের পানি বাড়ছে। এতে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।’

পাউবো কর্মকর্তা মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘সামনে পূর্ণিমা, তাই নদীতে পানি বাড়ছে। ভাটা পড়লে লোকালয় থেকে পানি নেমে যায়, আবার জোয়ার এলে লোকালয়ে পানি বাড়ে। এমনটি আরো কয়েক দিন থাকবে।’

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই উপজেলার কয়েকটি এলাকা অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পরে জোয়ারের পানি নেমে যায়। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।’

এ বিভাগের আরো খবর