মুন্সীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধের খবর পাওয়া গেছে। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের খাসকান্দি গ্রামে শনিবার ভোর ৫টার দিকে স্থানীয় আহমেদ আলী ও মামুন সমর্থিত দুই গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ রাজীব নিউজবাংলাকে সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। পরিস্থিতি এখন শান্ত। শুনেছি দুজন মারাত্মক আহত হয়েছেন, তবে কীভাবে আহত হয়েছেন, তা আমরা এখনো বলতে পারছি না।’
আহতদের প্রথমে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়।
জরুরি বিভাগে চিকিৎসক শৈবাল বসাক বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গুলিবিদ্ধ দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়। গুলিতে একজনের পায়ের মাংস উড়ে গেছে, আরেকজনের গুলি কিডনি পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।’
মুন্সীগঞ্জ সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সরকারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফসার উদ্দিন আফসু দাবি করেন, ‘মামুন ও তার স্ত্রী জিয়াসমিনের নেতৃত্বে খাসকান্দি এলাকায় শুক্রবার রাতে ৫০টি মোটরসাইকেল মহড়া দেয়। এ নিয়ে এলাকায় রাতে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
‘আহমেদ ও মামুন মুন্সীগঞ্জে আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই, তবে তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কিছুদিন আগে মামুন গ্রুপের লোকজন আহমেদ গ্রুপের সমর্থক সাইফুল নামের একজনকে মারধর করেন। তখন মামলা না দিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে দিবে বলা হয়। মীমাংসা না হওয়া ও এলাকায় মহড়া দেয়াকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটে।’
তাৎক্ষণিক আহমেদ ও মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। জিয়াসমিনকে ফোন দেয়া হলেও তিনি ধরেননি।
এ ঘটনার জন্য একে অপরকে দুষছেন মামুন ও আহমেদ আলী।
নিউজবাংলাকে মামুন বলেন, ‘আমি গ্রামে আসলেই তারা নানারকম প্রোপাগান্ডা ছড়ায়। আমি কালকে বিয়েতে আসলাম। তো এখানে বিয়ের বাড়িতে কারা হুন্ডা দিয়ে আসছে, সেটা তো আমি জানি না। আর আমার এলাকা আমি যেতেই পারি।
‘এটা আসলে বর্তমান চেয়ারম্যানের আমাকে নিয়ে জ্বালাপোড়া। তিনি আহমেদ গ্রুপকে শেল্টার দেন। তারাই কালকের মিটিং করে হামলার পরিকল্পনা করে, যার সূত্রপাত সকালেই।’
আহমেদ বলেন, ‘মামুন ও তার স্ত্রী জেসমিন এলাকায় আসলে সংঘর্ষ বাঁধে। গতকাল রাতে বহিরাগত সহকারে এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নিয়ে হোন্ডা মহড়া দেয় মামুন ও তার স্ত্রী। যার জন্য এলাকা উত্তপ্ত হয়। সকালে মামুন গ্রুপের লোকজন অতর্কিত ককটেল হামলা করলে হামলা সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।’