বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ ও রামপাল উপজেলায় জোয়ারের পানিতে তলিয়েছে অন্তত ২৫টি গ্রাম।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে মোড়েলগঞ্জের পানগুছি নদীসহ জেলার প্রায় সব নদ-নদীর পানি ৩ থেকে ৪ ফুট বেড়েছে। এ কারণে কিছু গ্রাম তলিয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মোড়েলগঞ্জ পৌর এলাকার কাপুড়েপট্টি সড়ক, কাঁচা বাজারসহ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের অন্তত ২০ গ্রাম এবং রামপাল উপজেলার গিলাতলা বাজার, বাঁশতলী, ভোজপাতিয়া, হুড়কা, রাজনগরসহ পেড়িখালি ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা তলিয়েছে।
মোড়েলগঞ্জের পৌর এলাকার চা দোকানি জামাল শেখ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই দিন ধরে জোয়ারের পানিতে পৌর এলাকা ডুবে আছে। দুপুর হলেই পানি চলে আসে সব জায়গায়। চেয়ারের উপর বসে দোকান চালাচ্ছি।’
একই এলাকার হোটেল ব্যবসায়য় কালাম মোল্লা বলেন, ‘আমার হোটেলে একহাত পানি। কাস্টোমার এর মধ্যে বসতে চায় না। বেশ কয়েক বছর ধরে এমন অবস্থা চলছে। বছর বছর পানিও বাড়ছে। আমাদের এখানে বেড়িবাঁধ না দিলে আর হবে না।’
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মোড়েলগঞ্জের দুইশরও বেশি মাছের ঘের তলিয়ে গেছে।
রামপাল সদর ইউনিয়নের সবুর রানা বলেন, ‘জলযায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দিন দিন রামপালের দাউদখালি নদীসহ জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। আগে জোয়ারের পানি ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। এখন জোয়ারের পানিতে রামপালের সদর ইউনিয়নসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
‘রামপালে জোয়ারের পানিতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত বেড়িবাঁধ না দেয়া হলে আগামিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।’
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে মোড়েলগঞ্জের পানগুছি নদীসহ জেলার প্রায় সব নদ-নদীর পানি ৩ থেকে ৪ ফুট বেড়েছে। এমন অবস্থায় বেড়িবাঁধ না থাকায় মোড়েলগঞ্জ ও রামপালের বেশকিছু এলাকায় প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো চিহ্নিত করে প্রকল্পের মাধ্যমে বেড়িবাঁধের কাজ করা হবে।’