শারীরিক নানা জটিলতায় অসুস্থ হয়ে কবি হেলাল হাফিজকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরও তার অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি।
শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপকালে কবি নিজেই তার অসুস্থতার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, ‘বুধবার বিকেলে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হয়েছি। চার-পাঁচটা টেস্ট করা হয়েছে।’
এখন শারীরিক অবস্থা কেমন জানতে চাইলে কবি বলেন, ‘ভীষণ দুর্বলবোধ করছি, কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে, খেতে পারছি না। দোয়া করবেন সবাই।’
চোখ, কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন ৭৪ বছর বয়সী এই কবি।
হেলাল হাফিজের লেখালেখির শুরুটা ষাটের দশকে। ১৯৬৯ সালে গণ-অভ্যুত্থানের সময় রচিত ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ কবিতাটি তাকে খ্যাতি এনে দেয়।
১৯৮৬ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’। এর ২৬ বছর পর ২০১২ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ৩৪টি কবিতা নিয়ে ঢাকা ও কলকাতা থেকে প্রকাশ হয় তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘বেদনাকে বলেছি কেঁদো না’।
২০১৩ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান হেলাল হাফিজ।
১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলার বড়তলী গ্রামে জন্ম নেয়া এই কবির শৈশব, কৈশোর ও যৌবন কেটেছে নিজ শহর নেত্রকোণাতেই।
১৯৬৫ সালে নেত্রকোণা দত্ত হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৬৭ সালে নেত্রকোণা সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন তিনি।