যশোরের অভয়নগরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার চেঙ্গুটিয়া চাপাতলা গ্রামে শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন সাবিনা ইয়াসমিন বিথি, তার দুই মেয়ে ৯ বছরের সুমাইয়া খাতুন ও ২ বছরের সাফিয়া খাতুন। তাদের মরদেহ চাপাতলা গ্রামের একটি কলাবাগান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তাদের হত্যার অভিযোগে সন্ধ্যায় সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের বাড়ি থেকে বিথির স্বামী জহিরুল ইসলাম বাবুকে আটক করা হয়েছে।
বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাবু তার স্ত্রী-সন্তানদের হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
বাবুর বরাতে এসআই জানান, স্ত্রীর সঙ্গে বেশ কিছুদিন ধরে বাবুর বিরোধ চলছিল। তার পরিবারের লোকজনও তা জানত। শুক্রবার দুপুরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে নিজ বাড়ির দিকে রওনা হন তিনি। পথে একটি কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে স্ত্রী ও শিশুসন্তানদের শ্বাসরোধে হত্যা করেন তিনি।
এসআই আরও জানান, লাশ সেখানেই ফেলে রেখে নিজ বাড়িতে ফিরে স্বজনদের হত্যার বিষয়টি জানান বাবু। তার বড় ভাই মঞ্জুরুল ইসলাম ঘটনাটি বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্পে জানালে পুলিশ গিয়ে বাবুকে আটক করে। সন্ধ্যায় অভয়নগর থানার এসআই মাসুদ রানার কাছে বাবুকে হস্তান্তর করা হয়।
নিহত বিথির বাবা মুজিবর রহমান বলেন, ‘এক মাস আগে আমার মেয়ে বিথি ও তার দুই মেয়ে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। শুক্রবার জামাই বাবু আমার মেয়ে ও তার দুই মেয়েকে নিতে আসে। বেলা সাড়ে ১১টার সময় আমাদের বাড়ি থেকে তারা রওনা দেয়।
‘এরপর আমার বিয়াই (জামাই জহিরুলের বাবা) ফোন করে বলে আমার ছেলেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছি, আপনারা চলে আসেন। তখন জানতে পারি আমার মেয়ে ও তার দুই মেয়েকে জামাই খুন করেছে।’
কী কারণে স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করেছেন বাবু? জানতে চাইলে মুজিবর বলেন, ‘১২-১৩ বছর আগে বাবুর সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। শুক্রবারও আমার বাড়িতে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এরপর তারা আমার বাড়ি থেকে রওনা দেয়।’
অভয়নগর থানার ওসি এ কে এম শামীম হাসান বলেন, ‘নিহত তিনজনের লাশ বাগান থেকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে উদ্ধার করা হয়েছে।