আগামী সপ্তাহ থেকে পদ্মা সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
সেইসঙ্গে আগামী বছরের জুনের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত নতুন লাইনে ট্রেন চলবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শুক্রবার পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শনকালে মন্ত্রী মুন্সিগঞ্জের মাওয়া স্টেশনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ থেকে পদ্মা সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হতে পারে। আগামীকাল সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের এ বিষয়ে মিটিং হবে। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে কবে থেকে রেললাইন বসানোর কাজ শুরু হবে।’
সেটি আগামী সপ্তাহ থেকেই হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে রেলমন্ত্রী জানান।
তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের জুনের মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত নতুন লাইনে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে ভাঙা পর্যন্ত রেললাইন নির্মিত হলে ঢাকা থেকে ফরিদপুর রাজবাড়ী হয়ে খুলনা, যশোর, দর্শনা ও বেনাপোল পর্যন্ত ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। এছাড়া খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুন লাইন যেটি এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। ফলে তা মোংলা পর্যন্ত চালানো সম্ভব হবে।’সেতুতে রেললাইন বসানোর সময় কম্পনের বিষয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে টেকনিক্যাল টিম কাজ করছে। তারা সব কিছু দেখে সমাধান করবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে আমাদের গর্বের পদ্মা সেতু অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়ন হয়েছে। এই সেতুতে রেল সংযোগের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প সরকারের ১০টি অগ্রাধিকার প্রকল্পের একটি। ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মিত হবে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা আছে। সময় মতো বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। একটি অংশ ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত, দ্বিতীয় অংশ মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এবং তৃতীয় অংশ ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত।
রেলমন্ত্রী বিভিন্ন অংশের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, ‘মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ, ঢাকা থেকে মাওয়া অংশের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ এবং ভাঙ্গা থেকে যশোর সেকশনের কাজের অগ্রগতি ৫১ শতাংশ এবং সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ।’
এ সময় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক আফজাল হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসানসহ কনসালটেন্সি সুপারভিশন সার্ভিসের সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।