বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাতক্ষীরায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে পানি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৫ জুলাই, ২০২২ ১৭:৪১

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এভাবে জোয়ারের নদীর পানি ঢুকলে সন্ধ্যার মধ্যে পুরো ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার বিঘা চিংড়ি ঘের পানিতে একাকার হয়ে গেছে। কৃষকের ফসলি জমি, মাটির ঘর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে অন্তত ১০টি গ্রামে জোয়ারের পানি প্রবেশ করেছে। পানিতে ভেসে গেছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বিঘা বাগদা ও গলদা চিংড়ির ঘের।

উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম দুর্গাবাটি এলাকার বাঁধ ভেঙে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে অন্তত ১০টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

এলাকাগুলো হল উত্তর পুড়াদহা, পশ্চিম দুর্গাবগী, পূর্ব দুর্গাবগী, পুড়া কাতলা, পশ্চিম পুড়া কাতলা, বলবাড়ী, দাতিনাখালী, আড়পাংগাশিয়া।

পশ্চিম দুর্গাবগী গ্রামের সামাদ মোড়ল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চোখের পলকে বাড়িঘরে পানি ওঠে গেল। মাটির ঘরটি প্রায় ভেঙে যাওয়ার উপক্রম। হয়তো রাতের মধ্যে বাসস্থান হারাতে হবে। এলাকার গৃহপালিত পশু ও মানুষ নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে। ভিটা মাটির মায়ায় পড়ে এখনো আছি এখানে।’

অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেন, ‘ছোট্ট বাচ্চা নিয়ে বড় অসহায় হয়ে পড়েছি। হয়তো রাতেই ভিটাবাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হবে। চোখ যতদূর যায় শুধু পানি আর পানি।’

পুড়া কাতলা গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী মো. মজিদ বলেন, ‘৫০০ বিঘার চিংড়ি ঘের রাতেই পানিতে তলিয়ে গেছে। পাশ্ববর্তী যত ঘের সব পানিতে একাকার হয়ে গেছে। অর্থনৈতিকভাবে কখনো আর সোজা হয়ে দাঁড়ানো সম্ভব না।’

সন্ধ্যার মধ্যে পুরো ইউনিয়ন অর্থাৎ ২৫ থেকে ২৭টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়া আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাজী নজরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘রাতে বাঁধ ভেঙ্গে এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হলেও দুপুর গড়াতেই মোটামুটিভাবে ১০টি গ্রামে নদীর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

‘এভাবে জোয়ারের নদীর পানি ঢুকলে সন্ধ্যার মধ্যে পুরো ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে যাবে। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার বিঘা চিংড়ি ঘের পানিতে একাকার হয়ে গেছে। কৃষকের ফসলি জমি, মাটির ঘর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় উপপ্রকৌশলী জাকির হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল ১০০ ফুট নদীর বাঁধ ভাঙন দেখা দিলেও সন্ধ্যার পরপরই সেটা ১৬০ থেকে ১৮০ ফুটে রূপান্তরিত হয়েছে। ভাঙনকবলিত এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বাঁশ, পেরেক, বস্তাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।

‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ৫৫০ ফুট পাইলিং করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দুপুরের মধ্যে জোয়ারের পানিতে পাইলিং করা সম্ভব নয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতা নিয়ে বিকেল বেলা পাইলিংয়ের কাজ করার সম্ভাবনা রয়েছে।’

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ন কবীর স্যার প্লাবিত অঞ্চল পরিদর্শন করছেন। পরিদর্শন শেষে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও তথ্য দেয়া যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর