বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারীকে বিবস্ত্র করে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ

  •    
  • ১৫ জুলাই, ২০২২ ১৩:১৫

কয়রা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইব্রাহিম আলি বলেন, ‘ওই দিন ৯৯৯ থেকে আমাদের জানানো হলে সেখানে পুলিশ যায়। পুলিশ গিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। তাদের থানায় এসে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

খুলনার কয়রায় জমিসংক্রান্ত বিরোধে এক নারীকে বিবস্ত্র করে গাছে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

গত ১১ জুলাই সকাল ১০টার দিকে উপজেলার মহেশ্বরপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নির্যাতনের শিকার ৩৫ বছর বয়সী ওই নারীকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে হাসপাতালে নিউজবাংলার কাছে তার ওপর নির্যাতনের বর্ণনা দেন ওই গৃহবধূ।

তিনি বলেন, ‘আমার বাবার জমি নিয়ে চাচাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে চাচারা বিভিন্ন সময় বাবার জমি দখল করতে আসে। তিন বছর আগে থেকে খুলনার আদালতে এই জমি নিয়ে একটি মামলা চলছে।

‘এরপরও তারা আমাদের সম্পত্তি দখলের জন্য পাঁয়তারা করছে। বারবার বাবার জমিতে ঘর বানাতে চাচ্ছে। তাদের সঙ্গে না পেরে, ঈদের বিকেলে থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ করি আমরা।’

ওই নারী বলেন, ‘ঈদের পরদিন ১১ জুলাই সকালে আমার চাচা ও চাচাতো ভাই সাইফুল, সোয়েব, সালাহ উদ্দীন ও ফিরোজসহ কয়েকজন মিলে আমাকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় রাস্তার ওপর। তারা আমাকে একাধারে মারধর করতে থাকে, তখন আমার শরীরের কাপড় খুলে যায়।

‘এরপর তারা আমাকে রাস্তার পাশে একটি মেহগনি গাছে বেঁধে আবারও মারধর করে। তারা আমাকে কামড়ে দাগ বসিয়ে দেয়। তখন আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।’

ওই নারীর বোনের স্বামী বলেন, ‘বিবস্ত্র অবস্থায় তাকে তারা গাছে বেঁধে রেখে আমার শ্বশুরের জমিতে ঘর তৈরি করছিল। তখন ঘটনাটি জানতে পেরে আমি ৯৯৯-এ ফোন দিই। পরে কয়রা থানার এসআই মাসুদের নেতৃত্বে দুই গাড়ি পুলিশ এসে গাছ থেকে দড়ি খুলে তাকে মুক্ত করে।’

নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী বলেন, ‘ঘটনার সময়ে আমি সাতক্ষীরার প্রতাপ নগরে ছিলাম। মোবাইলে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। এখন আমার চাচা শ্বশুররা প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পুলিশকে ম্যানেজ করে সব মীমাংসা করার চেষ্টা করছে।’

মহেশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী বলেন, ‘জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নিজেদের গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন তাদের বিরোধ চলে আসছে। বেশ কয়েকবার সালিশ করা হলেও সমাধান না হওয়ায় এখন আর কেউ যায় না। ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। সংবাদ পেয়ে আমি পুলিশকে জানিয়েছিলাম। পুলিশ ভালো বলতে পারবে।’

কয়রা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইব্রাহিম আলি বলেন, ‘ওই দিন ৯৯৯ থেকে আমাদের জানানো হলে সেখানে পুলিশ যায়। পুলিশ গিয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। তাদের থানায় এসে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর