বিস্ফোরক ও সংঘর্ষের মামলায় বগুড়ায় গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিলটনসহ তিন নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার বৃহস্পতিবার বেলা ৪টার দিকে এই আদেশ দেন।
কারাগারে যাওয়া এই তিন নেতা হলেন গাবতলীর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিলটন, হারুনুর রশিদ ও ফজলে রাব্বী। হারুন ও রাব্বী উপজেলা বিএনপির সদস্য।
আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া কোর্ট পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জী।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আলাদা দুই মামলায় জামিন নিতে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বিএনপি নেতা মিলটনসহ অন্যরা। এ সময় জামিন চাইলে বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার তা নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
তিনি জানান, গাবতলী থানা পুলিশের করা বিস্ফোরক ও সংঘর্ষ মামলায় তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
গত ২৭ মে বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় বিএনপির সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে মহিলা দল নেত্রী সুরাইয়া জেরিন রনি আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ ওঠে।
সুরাইয়া জেরিন রনি বগুড়া মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গাবতলী উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।
রনির ওই বক্তব্যের প্রতিবাদে ২৯ মে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ। তাদের ওই কর্মসূচিকে ঘিরেই সংঘর্ষ বাধে। পরে সংঘর্ষের ঘটনায় ও বিস্ফোরক আইনে গাবতলী থানা পুলিশ আলাদা দুটি মামলা করে।
মামলায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোরশেদ মিলটন, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক নতুন ও গাবতলীর পৌর মেয়র বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলামসহ ১৩৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে।