নাটোরের চলনবিল থেকে তুলে বিক্রি করে দেয়া ২০ কেজি ওজনের একটি গঙ্গা কাছিম জব্দ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
সিংড়ার চলনবিলের ডাহিয়া এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে এই কাছিমটি উদ্ধার করা হয়। এটিকে গঙ্গা কাছিম বলে শনাক্ত করেছেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিম।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গঙ্গা কাছিমের বৈজ্ঞানিক নাম Nilssonia gangetica। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচারে (আইইউসিএন) এর নাম বিপন্নের তালিকাভুক্ত।
সাইফুল ইসলাম জানান, বুধবার দুপুরে চলনবিলের ডাহিয়া এলাকায় মাছ ধরার ফাঁদে কাছিমটি আটকে যায়। স্থানীয় জেলে সুজা ও সামাউল ইসলাম সেটি নিয়ে সুবেন কর্মকার নামে একজনের কাছে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার স্থানীয় পরিবেশকর্মী সজীব ইসলাম জুয়েল, ইউপি সদস্য রুবেল হোসাইন এলাকাবাসীর সহায়তায় কাছিমটি জব্দ করেন।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিম কাছিমটির ছবি দেখে জানান, এটি বিরল প্রজাতির গঙ্গা কাছিম।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গঙ্গা নদীতে এই কাছিম আগে অনেক দেখা যেত বলে এর নাম গঙ্গা কাছিম। এটা বাংলাদেশে সংকটাপন্ন প্রাণী। ৩০০ থেকে ৪০০ বছর বাঁচে। পানির অবাঞ্ছিত ঘাস-লতাপাতা খেয়ে পানিকে পরিষ্কার রাখে।
‘তাদের খাদ্যতালিকায় মাছ, ব্যাঙ ও জলদ উদ্ভিদ আছে। এই জাতীয় প্রাণী ৩০০ থেকে ৪০০ বছর প্রকৃতিকে নিরাপদ রাখতে কাজ করে।’
রেজাউল করিম আরও জানান, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গঙ্গা কাছিমটিকে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের প্রজাতি হারিয়ে গেলে ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য নষ্ট হবে। কাছিমটিকে রাজশাহী বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।’