বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

করোনায় মৃত্যু ৬, কমেছে সংক্রমণ

  •    
  • ১৪ জুলাই, ২০২২ ১৭:০১

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ছয় জনের চার জন পুরুষ এবং দুই জন নারী। তাদের সবাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মৃতদের মধ্যে তিন জন ঢাকার। দুই জন নেত্রকোণার ও একজন ময়মনসিংহের বাসিন্দা।

ঈদের ছুটি শেষ হতেই করোনাভাইরাসে শনাক্তের পরিমাণ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। তবে গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় তা কিছুটা কমে এসেছে। বুধবারের তুলনায় সংক্রমণ কমেছে ১.৯ ভাগ।

২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ১৩১টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ১ হাজার ৩২৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। বুধবার ১ হাজার ২৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। তবে এর হার ছিল ১৩ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে বুধবার করোনায় মৃত্যু হয় পাঁচ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বৃহস্পতিবার পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়। এ নিয়ে টানা ২৭ দিন শনাক্তের হার ৫ শতাংশের ওপরে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। সেই হিসাবে দেশে এখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে।

ঈদের ছুটিতে করোনা শনাক্তের হার কম ছিল। এসময় নমুনা পরীক্ষার হারও ছিল কম। কিন্তু ছুটি শেষ হতেই করোনা শনাক্তে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। যা বৃহস্পতিবার আবার কমে এসেছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তদের মধ্যে ৭২১ জনই ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৯ লাখ ৯৩ হাজার ৩৮২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ২২৩ জন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ছয় জনের চার জন পুরুষ এবং দুই জন নারী। তাদের সবাই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। মৃতদের মধ্যে তিন জন ঢাকার। দুই জন নেত্রকোণার ও একজন ময়মনসিংহের বাসিন্দা।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৪৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১৬৬ জন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর। গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে সংক্রমণ।

এ বিভাগের আরো খবর