চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় বাস সুপারভাইজারকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের চিকিৎসক বৃহস্পতিবার সকালে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান।
নুরুল ইসলাম নাহিদ নগরীর চান্দগাঁও থানার চেয়ারম্যানঘাটা এলাকার শামসুর কলোনির বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে হানিফ পরিবহন বাসে সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পরিদর্শক সাদেকুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভোরে বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে পরীক্ষা করে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার হাত কিছুটা ঝলসানো ছিল, আর কিছু দাগ পাওয়া গেছে। দেখে বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সিএনজি অটোরিকশার চালক মোহাম্মদ আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এক লোক নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে এক কিলোমিটার এলাকা হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল যাওয়ার কথা বলেন। আমি ৩০০ টাকা ভাড়ায় রাজি হই।
‘পরে তারা নতুন ব্রিজ থেকে নতুন ফিশারিঘাট যাওয়ার পথে আমার অটোরিকশা দাঁড় করিয়ে মুমূর্ষু এক ব্যক্তিকে দুজন মিলে গাড়িতে তোলেন। তাদের দুজনের বয়স ২৫ ও ২৮ বছরের মতো হবে। আমাকে বলেছিল পুড়ে গেছে।’
‘তারা শুরুতে এক কিলোমিটার এলাকার ভেতরে আহত লোকটার বাসায় গিয়ে তার স্ত্রী ও মেয়েকে গাড়িতে তুলে নেয়। তারা গাড়িতে ওঠার পরই কান্না শুরু করে। তখন আমি ভেবেছিলাম ওরা সবাই একে অপরের পরিচিত। সেখান থেকে হাসপাতালে যাওয়ার পথে এক কিলোমিটার এলাকায় পুরুষ দুজন নেমে যায়। হাসপাতালে আসার পর জানতে পারি আহত লোকটার স্ত্রী ও মেয়ে তাদের চিনত না।’
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জানতে পেরে তদন্ত করছি। প্রাথমিকভাবে ইলেকট্রনিক শক দেয়া হয়েছিল মনে হচ্ছে। তিনি রাত ৯টার দিকে স্ত্রীকে ফোন করো নতুন ব্রিজ পার হচ্ছে বলে বলেছিলেন। কিন্তু আমরা ওনার কর্মস্থলে খবর নিয়ে জানতে পেরেছি গতকাল কর্মস্থলে যাননি তিনি।’
ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।