সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র আইনে মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও একজন।
জেলার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত ৩-এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডলের আদালতে বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য দেন কলারোয়ার শহিদুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্দুল লতিফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার দ্বিতীয় দিনে একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ১৯ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।’
এক আসামি অসুস্থতাজনিত কারণে আদালতে হাজির না থাকায় সাক্ষীকে জেরা করেননি আসামি পক্ষের আইনজীবী।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল মজিদ বলেন, ‘৪০ জন আসামির মধ্যে জাবিদ হাসান লাকী অসুস্থতাজনিত কারণে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আমরা সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পেছানোর আবেদন করেছিলাম। এ অবস্থায় সাক্ষী শহিদুল ইসলামকে জেরা করা থেকে আমরা আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বিরত ছিলাম।’
এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় গত ২৯ জুন।
এর আগে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র আইনে করা মামলার বিচার শুরু হয় ১৬ জুন। এ ছাড়া ওই দিন বিচারক একই সঙ্গে বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্য নেয়ার কথাও জানান।
যশোর-সাতক্ষীরা সড়কে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা হয়। এ ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
ওই দিনই কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন মামলা করেন। এ মামলায় তদন্ত শেষে হাবিবুল ইসলামসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করতেই এই হামলা হয়েছে।
এই মামলার দণ্ডবিধি ধারায় (হামলা মামলা) ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ৫০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন বিচারক।
২০১৭ সালের ১০ জুন বিস্ফোরক আইনে করা মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।