ঈদের ছুটি শেষে তৃতীয় কর্মদিবসে রাজধানীতে এখনও মানুষ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ফেরেনি। সকাল থেকে গাবতলী এলাকায় দেখা যায়নি ঢাকায় ফেরা মানুষের বাড়তি কোনো ভিড়।
বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত গাবতলী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঢাকায় খুব কমসংখ্যক দূরপাল্লার বাস ঢুকছে। বাড়তি কোনো চাপ নেই টার্মিনাল এলাকায়।
পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শুক্রবার রাত থেকে ঢাকামুখী হবে মানুষ। অনেকে রোববার থেকে অফিস করার জন্য শনিবার রাত অথবা রোববার ভোরে পৌঁছাবে ঢাকায়।
শ্যামলী পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা তাপস বলেন, ‘ঢাকায় মানুষ কম ফিরতেছে। যাত্রীর চাপ কম। যাত্রী আজকে যাচ্ছেও কম। রোববার থেকে আগের রূপে ফিরবে ঢাকা। শুক্রবার রাত থেকে ঈদে বাড়ি যাওয়া যাত্রীরা ফিরবে।’
হানিফ পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা মো. রোকন বলেন, ‘ঢাকা থেকে গতকাল (বুধবার) পর্যন্ত গ্রামের বাড়িতে মানুষ ভালোই গেছে। আজকে কম যাচ্ছে। ফিরতেছেও স্বাভাবিক ভাবে। ঢাকায় ফেরা কয়েকটা বাসের পেছনের সিট ফাঁকা ছিল। মানুষের ঢাকায় ফেরার যে ভিড়, সেটা এখনো হয় নাই।’
সেজুঁতি ট্রাভেলসের টিকিট বিক্রেতা মো. প্রান্ত বলেন, ঢাকায় ফেরার যাত্রী আছে। তবে ওরকম চাপ নেই। মানুষের ঈদের ছুটি এখনো শেষ হয়নি। শুক্র-শনিবার মানুষ ঢাকায় ফিরবে।
গাবতলী এলাকার যান চলাচল রয়েছে স্বাভাবিক। ট্রাফিক পুলিশরাও বেশ স্বস্তিতেই কাটাচ্ছেন।
ট্রাফিক পুলিশ মো. শরিফুল বলেন, সকাল ৬টা থেকে এখানে ডিউটি করছি। মানুষের ঢাকায় ফেরার চাপ নেই। খুব কম মানুষ ঢাকায় ফিরছে। গাবতলীর যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
বগুড়া থেকে ঢাকায় ফিরেছেন আহসান হাবিব। যাওয়ার দিন ১৬ ঘণ্টায় বাড়ি পৌঁছেছিলেন। আজকে ঢাকায় এসেছেন সাত ঘণ্টায়।
তিনি বলেন, ‘খুব সহজেই টিকিট পেয়েছি। আসতেও সময় খুব একটা বেশি লাগেনি। যাত্রীর চাপ ওভাবে নেই। শুক্রবার শনিবারের টিকিট পেতে ঝামেলা হচ্ছে। কিন্তু আজকে যারা আসবে শান্তিতেই আসবে।’
রংপুর থেকে ফেরা যাত্রী মো. সাফওয়ান বলেন, বাড়ি যাওয়ার সময় যে ঝামেলা করে গেছিলাম আসার সময় সহজেই আসলাম। আজকে যাত্রীর চাপ কম ছিল।