বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডিজিটাল যুগে বিচারে বিলম্ব কেউ মেনে নেবে না: আইনমন্ত্রী

  •    
  • ১৩ জুলাই, ২০২২ ১৮:২২

‘যুগ পাল্টেছে। আপনারা এখন ডিজিটাল যুগের বিচারক। আগে বিচারকাজে দেরি হলে বিভিন্ন কারণ উপলব্ধি করে জনগণ নিজেকে বুঝ দিত। কিন্তু এই ডিজিটাল যুগে তারা বিচারে বিলম্ব ভালোভাবে দেখবে না।’

ডিজিটাল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে দেশের বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, দ্রুত বিচারকাজ শেষ করার কৌশল নিয়ে বিচারকদের ভাবতে হবে।

ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে বুধবার সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের জন্য আয়োজিত ৪৬ ও ৪৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক বলেন, ‘ডিজিটাল যুগে বিশ্বব্যাপী কাজ করার গতি বহুগুণ বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের বিচারকদেরও এটা বিবেচনায় নিয়ে বিচারকাজে গতি বাড়াতে হবে। বিচারকরা দ্রুত বিচারকাজ কীভাবে সম্পন্ন করবেন, তা নিয়ে তাদের ভাবতে হবে।’

বিচারকদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যুগ পাল্টেছে। আপনারা এখন ডিজিটাল যুগের বিচারক। আগে বিচারকাজে দেরি হলে বিভিন্ন কারণ উপলব্ধি করে জনগণ নিজেকে বুঝ দিত। কিন্তু এই ডিজিটাল যুগে তারা বিচারে বিলম্ব ভালোভাবে দেখবে না।’

জনগণ দ্রুত ন্যায়বিচার চায় উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘একটি কথা চালু আছে- জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড এবং জাস্টিস হারিড ইজ জাস্টিস বারিড। আপনাদের এই দুটোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। একটি ব্যালান্সের মধ্যে আসতে হবে।’

বিচারকাজে মেডিক্যাল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য দিতে দেরি হয় বলে যে অভিযোগ হয়, তার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এ সমস্যা দূর করার অংশ হিসেবে মামলার চার্জশিটে মেডিক্যাল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর যুক্ত করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এতে করে তাদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করে আদালতে আনা যাবে।

‘এখন আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছি। সেটা হচ্ছে এসএমএসের মাধ্যমে মেডিক্যাল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রত্যেক সাক্ষীকে মামলার তারিখ জানানো। এর ফলে তারা আর বলতে পারবে না যে, আমরা সংবাদ পাইনি বা আমি এই জন্য আদালতে আসতে পারিনি।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এখন বিচারকদের যেটা নিশ্চয়তা দিতে হবে তা হলো যেদিন মেডিক্যাল অফিসার বা তদন্ত কর্মকর্তা বা অন্য কোনো সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসবেন সেদিন যেন তার সাক্ষ্যগ্রহণটা হয়। এটা বিচারকদের নিশ্চিত করতে হবে।’

নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটা হচ্ছে আমাদের মর্যাদার ব্যাপার। এই সেতুর কল্যাণে এখন সড়কপথে ঢাকা থেকে ৪ ঘণ্টায় বরগুনায় যাওয়া যাচ্ছে। আগে যেখানে সময় লাগত ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা। বিচারকাজেও এই গতিটা মেইনটেইন করতে হবে। তা-না হলে ৩৯ লাখ মামলার জট কমিয়ে আনতে পারব না।’

বিচারিক কর্মকর্তার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘বিচারকের সংখ্যা গিয়ে তিন হাজারে ঠেকতে হবে। জুডিশিয়াল অফিসাররা যাতে গাড়ি কেনার জন্য স্বল্পসুদে সরকারি ঋণ পান সে ব্যবস্থা করা হবে।’

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।

এ বিভাগের আরো খবর