বাগেরহাটের মোংলায় চিংড়িঘের থেকে উদগিরণ হওয়া গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।
বুধবার দুপুরে উপজেলার মিঠাখালী গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকার একটি ঘের থেকে বিশেষজ্ঞরা ওই নমুনা সংগ্রহ করেন। এ সময় বাপেক্সের জেনারেল ম্যানেজার (ল্যাব) হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম, খুলনার সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) তৌহিদুর রহমান, তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির বাগেরহাট জেলা আহ্বায়ক নুর আলম শেখসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিশেষজ্ঞ দল গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ করেছে। এই নমুনা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে। এরপরই এই গ্যাসের ধরন জানা যাবে।’
প্রাথমিকভাবে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, এটি শ্যালো মার্স গ্যাস। অর্থাৎ লতাপাতা, গুল্ম পচে ভূমির ওপরের স্তরে জমা মিথেন গ্যাস। তারপরও দুই ধরনের পরীক্ষায় একটিতে যদি হায়ার হাইড্রোকার্বনের উপস্থিতি পাওয়া যায়, তাহলে সেটি হবে ভূগর্ভস্থ দাহ্য মূল্যবান বাণিজ্যিক গ্যাস।
পরীক্ষায় যদি হায়ার হাইড্রোকার্বন না পাওয়া যায় তবে ওই গ্যাসকে মিথেন গ্যাস হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। কিছুদিন উদগিরণ করে একসময় এই গ্যাস শেষ হয়ে যাবে।
ঘের ও বাড়ির মালিক দেলোয়ার শেখকে পাইপ দিয়ে গ্যাস টেনে চুলা না জ্বালানোর পরামর্শ দিয়ে হাওলাদার ওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আপাতত এই গ্যাস দিয়ে চুলা চালানো যাবে না। এতে বাড়িসহ আশপাশে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি রয়েছে।’
উল্লেখ, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকায় দেলোয়ার হোসেনের মৎস্য ঘেরে বালু উত্তোলনের সময় গ্যাস উদগিরণ হতে থাকে। পরে এই গ্যাস পাইপ দিয়ে টেনে ঘেরের মালিক দেলোয়ার হোসেন রান্নার কাজও করছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে গ্যাস উদগিরণের স্থান দেখতে ঘটনাস্থলে ভিড় জমাতে থাকেন স্থানীয়রা।