বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৫০ বছরে দেশের জনসংখ্যা কমবে চার কোটি

  •    
  • ১৩ জুলাই, ২০২২ ১৫:৪৪

‘বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২০৫০ সাল নাগাদ হবে ১৯ কোটি ২০ লাখ। তবে এরপর বাংলাদেশের জনসংখ্যা কমতে থাকবে এবং সেটি ২১০০ সাল নাগাদ ১৫ কোটি ২০ লাখে নেমে আসবে। তখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যা বাড়লেও কমবে বাংলাদেশে।’

আরও ২৮ বছর দেশের জনসংখ্যা বাড়তে থাকলেও এর পর থেকে তা কমতে থাকবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। পরের ৫০ বছরে এই সংখ্যাটি চার কোটি কমে যাবে।

বুধবার ‘এক নজরে বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ-পরবর্তী মতবিনিময়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী জানান ২১০০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনসংখ্যা হবে ১ হাজার ১২০ কোটি। এখন পৃথিবীর লোকসংখ্যা ৮ বিলিয়ন ছুঁইছুঁই, চলতি ডিসেম্বরে ৮ বিলিয়ন অতিক্রম করবে। এ সময় বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হবে ভারত।

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হালচাল কী হবে, সেটিও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘বাংলাদেশের জনসংখ্যা ২০৫০ সাল নাগাদ হবে ১৯ কোটি ২০ লাখ। তবে এরপর বাংলাদেশের জনসংখ্যা কমতে থাকবে এবং সেটি ২১০০ সাল নাগাদ ১৫ কোটি ২০ লাখে নেমে আসবে। তখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যা বাড়লেও কমবে বাংলাদেশে।’

অনুষ্ঠানে বদ্বীপ পরিকল্পনার নানা দিক তুলে ধরেন মন্ত্রী। জানান, সরকার শুধু বর্তমান উন্নয়ন ও কর্মপরিকল্পনা নিয়েই সীমাবদ্ধ নেই। আগামী সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কর্মপরিকল্পনা এবং এই ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করা হবে, তার শতবর্ষব্যাপী দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও নিচ্ছে।

হাছান বলেন, এর নাম হলো বদ্বীপ পরিকল্পনা। এর ধারণার ব্যাপ্তিও অনেক বিস্তৃত। কিন্তু চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদপ্তর এই ধারণাটিকে মানুষের কাছে সহজপাঠ্য করে তুলতে সংক্ষিপ্ত পরিসরে বিস্তর ধারণা নিয়ে বইটি প্রকাশ করেছে।

বদ্বীপ পরিকল্পনার আংশিক ধারণা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে যে পরিবর্তন ঘটবে তা যদি এখন থেকেই পরিকল্পনা না থাকে তাহলে দেশকে সমৃদ্ধশালী করলেও সেটি টেকসই হবে না। সে কারণেই মূলত বদ্বীপ পরিকল্পনা।

বিদেশিদের কাছে নয়, জনগণের কাছে দৌড়ঝাঁপ করুন

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সব সময় বিদেশিদের কাছে ছুটে যায়, তাদের দৌড়ঝাঁপ বিদেশের রাষ্ট্রদূতদের কাছে, বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার কাছে।

‘কিন্তু দেশের মালিক হলো এ দেশের জনগণ। ক্ষমতার মালিকও এ দেশের জনগণ এবং তারাই প্রতিনিধি নির্বাচন করে। এ দেশে বিদেশি কোনো রাষ্ট্রদূত কিংবা কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা বা কোনো প্রতিনিধি তাদের ভোট দিয়ে ক্ষমতায় বসানোর অধিকার রাখে না।

‘আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের নাক গলানোও সমীচীন নয়। কিন্তু তারা নাক গলাতে না চাইলেও আমরা দেখি বিএনপি তাদের নাকটি নিয়ে ওদের কাছে যায়। এটি একটি দেশকে ছোট করার শামিল।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাব, বিদেশিদের কাছে দৌড়ঝাঁপ না করে জনগণের কাছে যান। তাহলে বরং সেটি আপনাদের জন্য মঙ্গল হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর