হারান হালদারের শখ ঝাঁকি জাল দিয়ে মাছ ধরা। কাজের মাঝে সুযোগ পেলেই মাছ ধরতে বেরিয়ে পড়েন।
ঈদের ছুটিতে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ৩ নম্বর ঘাটের পন্টুন ফাঁকা পেয়ে বুধবার সেখানে গিয়েই মাছ ধরা শুরু করেন এই কাঠমিস্ত্রি।
হারানের বাড়ি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নের পাটুরিয়ার ৪ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায়। হারানের দুই ছেলেমেয়ে। মেয়ে বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে থাকে। আর ছেলে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দেবে। ছেলে আর স্ত্রী নিয়েই এখন হারানের সংসার।
পন্টুন থেকে ঝাঁকি জাল দিয়ে মাছ ধরার সময় হারান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদের কারণে কাঠের কাজ বন্ধ। আগামী সপ্তাহ থাইকা কাজ শুরু হইব। বাড়িতেও কাজ নাই, বেকার বইসা থাকতে হয়। এ কারণে মাছ ধরতে আসা।
‘ঝাঁকি জাল দিয়া ভালো মাছ পাওয়া যায়। মাছ বেশি পাইলে খাওয়ার জন্য বাদ দিয়া বাড়তিটা বিক্রি কইরা দেই। কারণ বাড়িতে খাওয়ার তেমন মানুষ নাই। বাড়তি মাছ বিক্রি করলে কিছু টাকা পাওয়া যায়। তাতে সংসারের অন্য জিনিস কেনা যায়।’
ফেরির পন্টুন থেকে মাছ ধরার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগের মতো পাটুরিয়া ঘাটে তো যাত্রী বা গাড়ির চাপ নাই। মাঝে মধ্যে গাড়ি আর কিছু যাত্রী ঘাটে আসে। তাই ফেরিও কম আসে।
‘তা ছাড়া পদ্মায় পানি কমতে শুরু করছে। নদীর পারে কাদামাটি, ঠিকমতো দাঁড়ানো যায় না। তাই এই সুযোগে পন্টুনে উইঠা মাছ ধরতেছি।’
সকাল থেকে আড়াই ঘণ্টায় টেংরা, গাঙ টেংরা, গোলশা, ঘারুয়া, বেলে, মলা, কাজলিসহ বিভিন্ন জাতের মাছ পেয়েছেন হারান। তার ধরা মাছ কিনতে বেশ আগ্রহ দেখা যায় ক্রেতাদের।
হারান বলেন, ‘নদীর মাছ হওয়ায় দামও বেশি, খেতেও মজা। তাই মানুষ জোর করে কিনে নিয়ে যায়।
‘মাছ ধরা তো আসলে আমার পেশা না, এটা আমার শখ। তাই সুযোগ পেলে রোদ-বৃষ্টির মধ্যেও মাছ ধরি। খেতেও পারি আবার বিক্রি করতেও পারি।’