বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লাল গোলাপ হাতে নিয়ে প্রতিবাদ

  •    
  • ১৩ জুলাই, ২০২২ ১২:২৪

ফুল হাতে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে মাহিন বলেন, ‘পুলিশ রনিকে ধাক্কা দিয়েছে। আমাকে আঘাত করো, কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসা দিব, এই চিন্তা থেকেই ফুল হাতে আমরা দাঁড়িয়েছি। আমরা পুলিশের সঙ্গে কোনো ঝামেলা কিংবা দ্বন্দ্ব-সংঘাত সৃষ্টি করতে দাঁড়াইনি। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছি, তাই ফুল দিয়ে সবাইকে ভালোবাসা জানাচ্ছি, সবাইকে একমত হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

ফুল হাতে বাংলাদেশ রেলওয়ের ও সহজ ডটকমের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষার্থী।

ছয় দফা দাবিতে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে তারা এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। এটি শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্ট্যাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।

গত ৭ জুলাই থেকে টানা ছয় দিন ধরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গণস্বাক্ষর ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন রনি। পরে তার সঙ্গে যোগ দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহিন রুবেল, কাজী আশিকুর রহমান ও ঢাবি শিক্ষার্থী জয়া আহসান।

মহিউদ্দিন রনি বলেন, ‘সহজ ডটকমের মাধ্যমে আমি ঢাকা থেকে রাজশাহীর টিকিট কাটার চেষ্টা করি। কিন্তু বিকাশ থেকে আমার টাকা কেটে নিয়েও টিকিটের কোনো ডকুমেন্টস দেয়া হয় নাই। রেলস্টেশনে রেলওয়ের সার্ভার রুমে অভিযোগ জানালে তারা বলে, সিস্টেম ফল করেছে। ১৫ দিনের মধ্যে টাকা না পেলে আবার আসবেন। কিন্তু ওই সময় আমারই চোখের সামনে আমারই বুক করা সিট সেখানের কম্পিউটার অপারেটর ৬৮০ টাকার সিট ১২০০ টাকায় বিক্রি করে।’

ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করেও কোনো সুরাহা হয়নি বলে জানান তিনি।

বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছি ১৪ জুন একবার, ১৫ জুন একবার। কিন্তু শুনানির ডাক আসেনি। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম আমি একা নই, আরও শত শত মানুষ এই সমস্যার ভুক্তভোগী।’

৭ জুলাই পর্যন্ত কোনো সুরহা হয়নি বলে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তিনি।

তার সঙ্গে অবস্থান করা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহিন রুবেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মহিউদ্দিন রনি আমাদেরই বন্ধু। রেলওয়ে ও সহজের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সে ৭ তারিখ থেকেই আন্দোলন শুরু করে। এর মধ্যে ঈদের আগের দিন ৯ জুলাই তাকে পুলিশ ধাক্কা দেয়। বিষয়টি আমার গায়েও লাগছে। এ জন্য ঈদের পরদিন অর্থাৎ ১১ জুলাই থেকে আমিও তার সঙ্গে এসে এখানে অবস্থান করছি। একটা জাতীয় ইস্যু হিসেবেই ৬ দফা দাবিগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।’

ফুল হাতে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে মাহিন বলেন, ‘পুলিশ রনিকে ধাক্কা দিয়েছে। আমাকে আঘাত করো, কিন্তু আমি তোমাকে ভালোবাসা দিব, এই চিন্তা থেকেই ফুল হাতে আমরা দাঁড়িয়েছি। আমরা পুলিশের সঙ্গে কোনো ঝামেলা কিংবা দ্বন্দ্ব-সংঘাত সৃষ্টি করতে দাঁড়াইনি। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করছি, তাই ফুল দিয়ে সবাইকে ভালোবাসা জানাচ্ছি, সবাইকে একমত হবার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেই আসছেন। আমাদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে দাঁড়াচ্ছেন। কেউ থাকছেন, কেউবা চলে যাচ্ছেন।’

তাদের ছয় দফা দাবি হলো- সহজ ডটকমে যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে অথবা সহজকে বয়কট করতে হবে, টিকিট সিন্ডিকেট বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে, টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সর্ব সাধারণের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে, ট্রেনের জনসাধারণের জানমালের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি ও বিনা মূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন-ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে, ট্রেনের সিটসংখ্যা বাড়ানো অথবা ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে।

তার সঙ্গে সঠিক সেবার মান ও তথ্যের জবাবদিহি নিশ্চিতে শক্তিশালী মনিটরিং টিম গঠন করতে হবে বলেও তারা দাবি করেন।

এ বিভাগের আরো খবর