ঈদের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কর্মদিবসে রাজধানীতে এখনও মানুষ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ফেরেনি। সকাল থেকে তাই রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে নেই কোনো যানজট।
অল্প সময়ের মধ্যে অফিসে পৌঁছতে পারছেন অনেক নগরবাসী। ট্রাফিক পুলিশ মো. সেলিম বলেন, রাজধানীতে এখনও গাড়ির সংখ্যা কম হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ করা লাগছে না।
ঈদুল আজহার তিন দিনের নির্ধারিত ছুটি শেষ হয়েছে সোমবার। প্রথম কর্মদিবস মঙ্গলবার থেকে খোলা অফিস-আদালত, তবে বুধবার দ্বিতীয় কর্মদিবসে এসেও সাধারণ মানুষ আছেন ছুটির আমেজে।
রাজধানীতে ফেরার প্রধান প্রবেশমুখ গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান ও সদরঘাটে মানুষ ও গাড়ির চাপ কম দেখা গেছে।
মোহাম্মদপুর থেকে মিরপুর হয়ে উত্তরা যাওয়া প্রজাপতি বাসের ড্রাইভার চান মিয়া বলেন, ‘গতকালকের মতো আজকেও সকাল থেকে রাস্তা ফাঁকা। রাস্তায় জ্যাম হবে রোববার থেকে। মানুষ এখনো বাড়িতে ঈদ করছে।’
মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ মো. সেলিম বলেন, ‘সকাল ৬টা থেকে এখানে ডিউটি করছি। গাড়ির সংখ্যা কম হওয়ায় আমার আর নিয়ন্ত্রণ করা লাগছে না। ওরা ওদের মতো করে যাচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত মানুষ ছুটিতে থাকবে। রোববার থেকে আগের চেনা রূপে দেখবেন।’
ফার্মগেট বাসস্ট্যান্ডের পাশের দোকানি মো. কাওসার বলেন, ‘সকাল থেকেই আছি। মানুষ নাই রাস্তায়। গাড়ি কম। এই এলাকায় কোনো যানজট নাই।’
সায়েদাবাদ থেকে ফার্মগেট এসে নেমেছেন মো. বাপ্পি। তিনি বলেন, ফাঁকা রাস্তা দিয়ে ফার্মগেট আসলাম। সায়েদাবাদ এলাকায় এসে কিছু মানুষ দেখলাম। এরা সবাই গ্রাম থেকে ঈদ করে এসেছে। তবে যানজট নাই।’
গাবতলী থেকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে এসে নেমেছেন মো. সুমন। তিনি বলেন, গাবতলী থেকে মোহাম্মদপুর আসতে মোটরসাইকেলে ১০ মিনিট লেগেছে। রাস্তায় জ্যাম নেই।’