বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যশোরে যুবদল নেতা খুনের নেপথ্যে কী

  •    
  • ১২ জুলাই, ২০২২ ২৩:০০

এই হত্যাকাণ্ডে প্রাথমিকভাবে রায়হান নামে এক হামলাকারীকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাকে আটক করতে পারলেই হত্যাকাণ্ডের জট খুলবে, এমন দাবি তাদের।

স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদল নেতা বদিউজ্জামান ধোনিকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করছে যশোরের পুলিশ। পরিচিত লোকেরাই তাকে কুপিয়ে খুন করে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে যশোরের নাজির শংকরপুরে আকবরের মোড় এলাকায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন ধোনি। তিনি ওই এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে এবং জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন।

পুলিশ বলছে, স্থানীয় যুবলীগ কর্মী ইয়াসিন হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হলেও এলাকায় সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন ধোনি। ব্যবসার পাশাপাশি তিনি বিএনপির সহযোগী সংগঠন যুবদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মৃত্যুর সময় তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।

এই হত্যাকাণ্ডে প্রাথমিকভাবে রায়হান নামে এক হামলাকারীকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাকে আটক করতে পারলেই হত্যাকাণ্ডের জট খুলবে, এমন দাবি তাদের।

এদিকে, বিকেলে ধনির মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বাড়িতে আনা হলেও ঢাকায় থাকা বোনের অপেক্ষায় তার দাফন সম্পন্ন হয়নি। বুধবার বেলা ১০টার দিকে যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাযা শেষে তাকে কারবালা কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।

নিহতের শ্যালক তপু জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বাড়ি থেকে বের হয়ে সামনের একটি ফার্মেসিতে বসেছিলেন ধোনি। এ সময় স্থানীয় সন্ত্রাসী রায়হান, রহিম, আকাশসহ ৪/৫ জন সন্ত্রাসী তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পরই মারা যান তিনি।

তপুর দাবি, এলাকায় আধিপত্য বিস্তরকে কেন্দ্র করে মানুয়ার নামে এক ব্যক্তি তার ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। মানুয়ারকে ধরতে পারলেই এই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হবে বলে মনে করেন তিনি।

আরেকটি সূত্র জানায়, নিহত ইয়াসিনের এক নিকটাত্মীয়ের নেতৃত্বে তার ওপর হামলা চালানো হয়। ওই আত্মীয়ের বাবার সঙ্গে ধোনির ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব চলছিল।

এদিকে প্রিয়জনকে হারানোর বেদনায় বুকফাটা আর্তনাদ আর আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠেছে ধোনির বাড়ি। তার স্ত্রী, সন্তান ও বোনদের কান্না দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না প্রতিবেশীরাও। কোনো কারণ ছাড়াই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।

ধনির বাড়িতে স্বজনদের আহাজারি

ধোনির মৃত্যুতে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা বলেন, ‘বদরুজ্জামান ধোনি একজন সাদা মনের মানুষ। এলাকার লোকজন তার কাছে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ নিত এবং তার মধ্যস্থতায় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হত। তাকে এভাবে খুন করা হবে ভাবতেই পারছি না।’

এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আটক করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান রানা।

কেন্দ্রীয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘বদিউজ্জামান ধোনি একজন নির্ভেজাল রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তার সঙ্গে কারো কোনো বিরোধ ছিল না। এভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে তাকে হত্যার বিষয়টি আমরা মেনে নিতে পারছি না। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক তাদের পুলিশ শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করবে এটাই প্রত্যাশা করি।’

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। তবে রাত ৯টা পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো মামলা না হলেও তা প্রক্রিয়াধীন আছে।

এদিকে ঘটনাস্থল আর নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন র‌্যাব-৬ সদস্যরা। এ বিষয়ে র‌্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার নাজিউর রহমান জানান, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে র‌্যাবের পক্ষ থেকে ছায়া তদন্ত চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর