দেশের উত্তর-পূর্বে সিলেট অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ণয় হয়নি। তবে দুর্গত মানুষের পুনর্বাসনে সরকার পাশে আছে এবং পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত আছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।
সচিবালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রতিমন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আতিকুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন ।
বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ও ত্রাণসহায়তা নিয়ে কথা বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান। ছবি: নিউজবাংলা
প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, ‘সরকারের কাছে পর্যাপ্ত খাবার ও গৃহনির্মাণসামগ্রী মজুত আছে। ইতিমধ্যে বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আমাদের কাছে চলে এসেছে। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে এটি কম্পাইল করছি। এরপর আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক করে ক্ষয়ক্ষতি পূরণে একটি তড়িৎ উদ্যোগ নেব। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য, চাল, টিন, গৃহনির্মাণসামগ্রী আছে।’
বানভাসি মানুষের ঈদ আনন্দ উপভোগের সুযোগ করে দিতে সরকার পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নগদ অর্থ সহায়তাও দিয়েছি। ঈদ উপলক্ষে আমরা নগদ ২ কোটি টাকা দিয়েছি, ১ হাজার মেট্রিক টন চাল দিয়েছি, চার হাজার বান্ডেল টিন দিয়েছি, ১ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়েছি গৃহনির্মাণ মজুরি বাবদ।’
প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতার তথ্য জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট-সুনামগঞ্জে যখন বন্যা চলছিল, আমাদের জিআর নগদ টাকা শেষ হয়ে গিয়েছিল, আমরা ১০ কোটি টাকা চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী পরদিন ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেন।
‘প্রধানমন্ত্রী ৫ হাজার ৫০০ জনকে ১০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছেন। ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন সিলেট ও সুনামগঞ্জে। আমাদের পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত আছে, নগদ অর্থ আছে, কাপড়, টিনসহ সবকিছুই আছে। যখন যে পরিমাণ প্রয়োজন হবে সে পরিমাণ ত্রাণ দেয়ার সক্ষমতা আছে।’