ঈদে নিমন্ত্রণ করে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে অন্তঃসত্ত্বাকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী ফয়সাল আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে হত্যার অভিযোগে একটি মামলা করেন অন্তঃসত্ত্বার বাবা রফিকুল ইসলাম।
সোমবার দিবাগত রাতে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় হত্যা মামলাটি করা হয়। এতে নিহত অন্তঃসত্ত্বার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ, ভাশুরসহ মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঠাকুরগাঁও সদর থানার এসআই চন্দন রায়।
মামলার বরাতে চন্দন বলেন, ‘ঈদের দাওয়াতে ডেকে নির্যাতনে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছি আমি। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।’
নিহতের স্বজনের অভিযোগ, গত বছর ঢাকায় কর্মরত থেকে নিহতের স্বামী ফয়সাল আহম্মেদ নিহত শাপলাকে বিয়ে করেছিলেন। ছেলের পরিবার বিষয়টি তখন মেনে নেয়নি।
এরই মধ্যে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা হন শাপলা। এ অবস্থায় কোরবানি ঈদ উপলক্ষে তাকে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে পাঠানো হয়। এ অবস্থায় বাবা-মায়ের দেয়া স্বামীর জন্য একটি সোনার আংটি নিয়ে ঈদের আগের দিন দিবাগত রাত ২টায় শ্বশুরবাড়ি যান শাপলা।
কিন্তু বাড়ির দরজায় পা দেয়ামাত্রই তাকে হালের লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করেন শ্বশুর আব্দুল খালেক, স্বামী ফয়সাল এবং ননদসহ শ্বশুরবাড়ির বাকি সদস্যরা।
এ সময় অন্তঃসত্ত্বা শাপলার পেটে বেশ কয়েকবার লাথি মারা হলে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে সেখানকার এক প্রতিবেশী তাকে উদ্ধার করে তার মামার বাড়িতে দিয়ে যান।
মামার বাড়ি থেকে পরে শাপলাকে তার বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আঘাতের প্রকৃত অবস্থা না বোঝায় এবং ঈদের ব্যস্ততার কারণে হাসপাতালে না নিয়ে তাকে বাড়িতেই সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালানো হয়। এ অবস্থায় ঈদের পরদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শাপলার মৃত্যু হয়।
এই প্রতিবেদনের আগের খবর: ঈদের দাওয়াতে ডেকে অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার অভিযোগ