ট্রেনে বগি না থাকলেও টিকিট বিক্রির জন্য একে অপরের ওপর দায় চাপাচ্ছে রেলওয়ে এবং ট্রেনের টিকিট বিক্রির বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকম।
রেলওয়ে বলছে, সহজ ডটকমের ভুলেই এমন হয়েছে। অন্যদিকে সহজ দাবি করেছে, তাদের কোনো ভুল হয়নি।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জামালপুরগামী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়ার সময় হলে বেশকিছু যাত্রী ট্রেনে উঠতে গিয়ে বগি না পেয়ে স্টেশন মাস্টারের রুমে যান। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন বগি ট্রেনে সংযুক্ত নেই।
ওই বগিতে ৭০ জন যাত্রী টিকিট করেছিলেন। পরে তারা ক্ষোভ দেখান স্টেশন মাস্টারের সামনে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে স্টেশন থেকে ঘোষণা করা হয়, জামালপুর এক্সপ্রেসের ‘গ’ বগির যেসব টিকিট বিক্রি করা হয়েছে, সেসবের টাকা ফেরত দেবে রেলওয়ে। কারণ সেই বগি ট্রেনে সংযুক্তই নেই।
পরে যাত্রীরা জানতে পারেন, সহজের ভুলেই বগি না থাকলেও তার টিকিট বিক্রি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার আফসার উদ্দিন বলেন, ‘বগি নষ্ট হয় নাই। এটা চালানোর অর্ডারই ছিল না। ৯ তারিখ পর্যন্ত অর্ডার ছিল, তখন পর্যন্ত বগি চলাচল করেছে। ১০ তারিখ বন্ধের পরে আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত ওই বগি চলাচলের অর্ডার হয়নি। কিন্তু আমাদের সহজ মনে করছে যে, আগের মতোই ঈদের পরেও চলবে।... সে হিসাবে তারা টিকিট বিক্রি করছে।’
তাহলে এর দায় কী রেলওয়ের? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না, সহজের মিসটেক এটা। ওরা মনে করেছে। শিওর না হয়ে এটা করেছে। এটা আমাদের (রেলওয়ের) ভুল না, এটার তো অর্ডারই নাই।’
তবে সহজ দাবি করেছে, এই ভুল বা দায় তাদের নয়। সহজ ডটকমের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহাত আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যে বগিটা মানুষ পায়নি সেটা যে ক্যানসেল হয়েছে তার কন্ট্রোল অর্ডার আগে আমাদের পর্যন্ত বাংলাদেশ রেলওয়ে দেয়নি। যেকোনো বগি অ্যাড কিংবা ক্যানসেল যদি হয়, তখন একটি কন্ট্রোল অর্ডার রেলওয়ে থেকে আমাদের দেয়া হয়।
‘তখন আমরা সেটা ক্যানসেল করি। কিন্তু এই বগিটার কোনো কন্ট্রোল অর্ডার আমাদের পর্যন্ত আসেনি। তাই আমরা নরমালভাবেই মনে করেছি যে বগিটা থাকবে। এ কারণে ওই বগির টিকিট বিক্রি হয়েছে।’
কমলাপুর স্টেশন কর্তৃপক্ষ তো বলছে এটা আপনাদের ভুল, ফারহাত বলেন, ‘এটা আমাদের ভুল না। আমাদের ওই এখতিয়ার নেই যে একটি বগি অ্যাড কিংবা ক্যানসেল করব।’
ভুলে এমন হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান।
তিনি বলেন, ‘ওই বগি যে ক্যানসেল হইছে- এটা এখন আমাদের রেল থেকে ইস্যু করতেছে। যারা ওই বগির টিকিট কাটছে তাদের টাকা ফেরত দিয়ে দেয়া হচ্ছে।’