বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চোখ বেঁধে প্লায়ার্স দিয়ে গৃহকর্মীকে নির্যাতন

  •    
  • ১২ জুলাই, ২০২২ ১৩:৪৫

ওই নারীর অভিযোগ, প্লায়ার্স দিয়ে তার হাত-পায়ের আঙুলে চাপ দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে গৃহকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ বলছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। 

ঢাকার সাভারে মোবাইল চুরির অভিযোগে গৃহকর্মীকে চোখ বেঁধে রড দিয়ে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

ওই নারীর অভিযোগ, প্লায়ার্স দিয়ে তার হাত-পায়ের আঙুলে চাপ দিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে গৃহকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ বলছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।

ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ওই গৃহপরিচারিকা মঙ্গলবার সকালে এই অভিযোগ করেন।

আশুলিয়ার গাজীরচট বটতলা এলাকায় দুলাল হোসেনের বাড়িতে শনিবার এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত বাড়ির মালিক সাবেক সেনাসদস্য। তবে তার ছেলে, স্ত্রীসহ বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

গৃহকর্মী আজমিনা বেগম শেরপুর জেলার নকলা থানার মহিমাকান্দা গ্রামের মো. মনাহারের স্ত্রী। তারা আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ কবরস্থান রোড এলাকার মো. রহমতের বাসায় ভাড়া থাকেন।

আজমিনা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি গার্মেন্টসে চাকরি করি। কিন্তু ঈদের আগে বেতন না পেয়ে এক বাড়িতে দিনের কাজ নেই। আমার ননদ আমাকে গাজীরচট এলাকায় দুলাল নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ঈদের আগের দিন কাজ দেয়।

‘শনিবার সকাল ৮টার দিকে গাজীরচট এলাকার ওই বাড়িতে কাজে যাই। কাজ শেষ করে দুপুর ১২টার দিকে আমার ভাড়া বাসায় ফিরে আসি।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুপুর ১টার দিকে বাড়িওয়ালার বড় ছেলেসহ আরেকজন মোটরসাইকেল নিয়ে আমার বাড়িতে আসে। আমি মোবাইল চুরি করছি এমন কথা বলে গালমন্দ করতে থাকে। এরপর আমাকে মোটরসাইকেলে তুলে তাদের বাসায় নিয়ে যায়। পরে ফ্ল্যাটে ঢুকে তারা আমার চোখ বেঁধে ফেলে।

‘এ সময় বাড়িওয়ালা, তার ছেলে, স্ত্রী ও স্বজনরা মিলে আমাকে রড দিয়ে পেটাতে থাকে। পরে প্লায়ার্স দিয়ে আমার হাতের আঙুলে চাপ দিয়ে নির্যাতন চালায়।’

মোবাইল চুরির বিষয়টি জোর করে স্বীকার করানোর চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘জেরার একপর্যায়ে ওনারা বলছে, তোরে মাইরা ডাস্টবিনে ফালায় দিমু। ক মোবাইল কই রাখছোস?’

‘দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাকে নির্যাতন করে তারা। পরে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে এবং আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এলে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।’ যোগ করেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘ওই নারীকে অমানবিক নির্যাতন করেছে বাড়িওয়ালা। মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালেও নিতে বাধা দেয়া হয়েছিল। পরে এলাকার লোকজন ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।’

তবে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক দুলাল হোসেনকে একাধিক ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরিচয় জানিয়ে এসএমএস করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টা আমার জানা নেই। ওই নারী থানায় এসে অভিযোগ করলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। আপনি তার পরিবারের কাউকে থানায় পাঠিয়ে দেন।’

এ বিভাগের আরো খবর