ঈদুল আজহার ছুটি শেষে শুরু হয়েছে প্রথম কর্মদিবস। ঈদের পর অনেকটা ছুটির আমেজেই শুরু হয়েছে প্রথম কর্মদিবস। ফলে এখনও কর্মচঞ্চল হয়ে ওঠেনি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অফিসপাড়া সচিবালয়।
ঈদের তিন দিনসহ এবার টানা চার দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার খুলেছে সচিবালয়।
রুটিন অনুযায়ী, সকাল ৯টা থেকে অফিস শুরু হলেও বেলা সাড়ে ১০টায়ও সচিবালয়ে নেই তেমন কোনো কোলাহল। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিও কম। প্রথম দিনে আসেননি অনেক মন্ত্রী ও সচিব।
এমন অবস্থায় নানা কাজে সচিবালয়ে আগন্তুক বহিরাগতদের চাপ একদমই নেই। ফলে সচিবালয় চত্বরে অবস্থান করা গাড়ির সংখ্যাও আগের যেকোনো দিনের তুলনায় কম। বিভিন্ন ভবনের সামনে গাড়ি পার্কিং রাখার সিংহভাগ জায়গা খালি পড়ে আছে।
এ ছাড়া নেই মোটরসাইকেল রাখার চাপও। ব্যক্তিগত গাড়ি, মোটরসাইকেল কিংবা হেঁটে এখনো সচিবালয়ে ঢুকছেন কোনো কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী।
সচিবালয়ে ছিল না চিরচেনা ব্যস্ততা, ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
এদিকে যারা ইতিমধ্যে এসেছেন, তারা সকালে অফিসে এসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি করছেন।
কেউ কেউ অফিস হাজিরা দিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে করছেন খোশগল্প। অনেকেই ক্যান্টিনে রয়েছেন চক্রে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ অফিস করছেন। তার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি চেয়ারের মধ্যে একটিতে একজন বসে আছেন। অন্য দুজন এখনও কর্মস্থলে আসেননি।
ব্যক্তিগত কর্মকর্তা রতন কুমার দত্ত বলেন, ‘আমাদের তো ঈদ নেই। তাই ঈদে ঢাকায় ছিলাম। প্রথম দিন অফিসে এসেছি।’
অন্যদের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের একজন ছুটিতে আছেন, আরেকজন স্যারকে বলেছেন, তিনি কাল আসবেন।’
সার্বিকভাবে সচিবালয়ের কর্মব্যস্ত রূপ আগামী রোববারের আগে দেখা মিলবে না বলেও জানান তিনি।
বাণিজ্য, অর্থ, কৃষি, ডাক, গৃহায়ন ও গণপূর্ত, জনপ্রশাসনসহ প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীই রয়েছেন ছুটিতে। যারা ছুটি নেননি, তারা যথারীতি অফিস করছেন।
একইভাবে অনেক কক্ষই ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে নানা ধরনের অফিসে। কোনো কোনো কক্ষের তালা খোলাই হয়নি।
এদিকে ঈদ শেষে বিভিন্ন মাধ্যমে ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন অনেকেই। যাদের মঙ্গলবার অফিস ছিল তাদের অনেকেই ভোরে ঢাকায় ফিরেছেন বাস, ট্রেন ও লঞ্চে। তবে এসব যানে তেমন ভিড় দেখা যায়নি।