ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে রাজধানীতে এখনও মানুষ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ফেরেনি। সকাল থেকে তাই রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে নেই কোনো যানজট।
ঈদুল আজহার তিন দিনের নির্ধারিত ছুটি শেষ হয়েছে সোমবার। প্রথম কর্মদিবস মঙ্গলবার থেকে খোলা অফিস-আদালত, তবে ঈদের তৃতীয় দিনেও সাধারণ মানুষ আছেন ছুটির আমেজে।
রাজধানীতে ফেরার প্রধান প্রবেশমুখ গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান ও সদরঘাটে মানুষ ও গাড়ির চাপ কম দেখা গেছে।
সকালে বগুড়া থেকে ফিরেছেন আহসান হাবিব। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। আজ বিকেল থেকে তার অফিস শুরু।
ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে রাজধানীতে এখনও মানুষ উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় ফিরেনি। তাই প্রধান সড়কগুলোতে নেই কোন যানজট। ছবি: নিউজবাংলা
নিউজবাংলাকে হাবিব বলেন, ‘সকালে বগুড়া থেকে এসে মহাখালী নামলাম। মহাখালী থেকে মোহাম্মদপুর আসলাম ১০ মিনিটে। রাস্তা পুরাই ফাঁকা। ঢাকায় এখনো ঈদের আমেজ। এমনকি উত্তরবঙ্গের মহাসড়কও ফাঁকা।
‘মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড ও বেড়িবাঁধ তিন রাস্তার মোড়ে রাত-দিন সব সময়ই যানজট লেগে থাকে। আজ এই এলাকাও ফাঁকা।’
এখানকার প্রজাপতি বাসের ড্রাইভার মো. সুজন বলেন, যাত্রী নাই। শনিবার থেকে যাত্রী কমে গেছে। আজকেও রাস্তা ফাঁকা। যাত্রী নাই। উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে আসলাম, রাস্তা ফাঁকা।
যাত্রাবাড়ী থেকে আসাদগেট এসে বাস থেকে নেমেছেন মো. সুমন।
তিনি বলেন, ‘সকালে গোপালগঞ্জ থেকে যাত্রাবাড়ী এসে নামি। যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ হয়ে আসলাম। রাস্তা ফাঁকা। অল্প সময়ে চলে আসছি।’
ভিড় নেই লঞ্চ ঘাটেও। এখনো ঈদের আমেজ কাটেনি সদরঘাটে।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের গেটম্যান আলাউদ্দিন মঞ্জুর বলেন, ‘এখনও ঢাকায় ফিরতে মানুষের চাপ শুরু হয়নি। মনে হয় কাল-পরশু থেকে চাপ আস্তে আস্তে বাড়বে। আজকে যে পরিমাণ যাত্রী সদরঘাটে নেমেছে, অন্যান্য সাধারণ দিনেও তার চেয়ে বেশি থাকে।
রাজধানীর মিরপুর সড়কেও নেই ভিড়। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ মো. মোদাব্বের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে রাস্তায় গাড়ি, মানুষ দুইটাই কম। মিরপুর রোড ফাঁকা। ফার্মগেটেও একই অবস্থা। মনে হচ্ছে রোববার থেকে আগের রূপে ফিরবে ঢাকা।’